১৫ শতাংশের বেশি অধিক কমিশন দিলে বিমা কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা: বিআইএ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বিমা আইন ২০১০ অনুযায়ী প্রিমিয়াম সংগ্রহের জন্য নন লাইফ তার এজেন্টকে ১৫ শতাংশ কমিশনের বেশি কোনো কমিশন দিতে পারবে না। যদি কোনো বিমা কোম্পানি এই আইন অমান্য করে তাহলে সেই কোম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিআইএ’র সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, গত ২ জুলাই নন লাইফ বিমা কোম্পানির জন্য বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। যা গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে। বিআইএ’র সভাপতি বলেন, নন-লাইফ বিমা কোম্পানিসমূহ নানাবিধ সমস্যার কারণে আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষকে যথাযথ বিমার সেবা দিতে পারছে না। বিমার দাবি পরিশোধের সক্ষমতাও দিন দিন হারাচ্ছে। যে কারণে নন লাইফ বিমা কোম্পানিসমূহ আর্থিকভাবে সংকটের সম্মুখীন। তাই আইডিআরএ এবং বিআইএ’র যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ আগস্ট থেকে এই আইন কঠোরভাবে প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি কোনো বিমা কোম্পানি ব্যাংক এবং বিমাগ্রহীতা এই ধরনের বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারো কাছে এই জাতীয় কোনো তথ্য থাকলে তার কাছে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি। তিনি বলেন, জারি করা সার্কুলার নন লাইফ বিমা কোম্পানির জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে সব ব্যাংক হিসাবসমূহ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বন্ধ করে শুধুমাত্র কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে করে বিমা কোম্পানিসমূহের আর্থিক ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হবে। নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অংকের বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে এই সার্কুলারে। যা বিমা কোম্পানির সব চেয়ারম্যান মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা এতে একমত হয়েছেন বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, ভিশন ২০২১ এবং পরবর্তীতে ভিশন ২০৪১ বাস্তবরূপ দেওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী ব্যাংক বিমা খাত অপরিহার্য। এজন্য বিমা খাতের উন্নয়ন ও প্রসার ছাড়া দেশের কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন।