বিনিয়োগের শর্ত শিথিল পুঁজিবাজারে ব্যাংকের
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা নির্ধারিত কয়েকটি খাতের প্রাইভেট লিমিটেড ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকে ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হবে না। ফলে সমপরিমাণ টাকা তারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে।
পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয়য়ের নির্দেশনা এবং বিএসইসির সুপারিশের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তবে প্রজ্ঞাপনে খাত নির্দিষ্ট করে দেওয়া এবং বিভিন্ন শর্তের কারণে ছাড় দেওয়া সত্তে¡ও পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের সক্ষমতা সেভাবে বাড়বে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, স্পেশাল পারপাস ভেহিক্যাল, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও সমজাতীয় তহবিলের বাস্তবায়িত বা বাস্তবায়নাধীন সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগকৃত অর্থ ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজারের বাইরে থাকবে। নতুন নির্দেশনা অনুসারে সরকারি উদ্যোগের অবকাঠামো প্রকল্প-যেমন বিদ্যুকেন্দ্র, বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি অবকাঠামো, সড়ক ও সেতুসহ যোগাযোগ অবকাঠামো, পর্যটন অবকাঠামো, ডিজিটাল অবকাঠামোতে একটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ৭০০ কোটি টাকা অথবা একক গ্রাহক ঋণসীমার মধ্যে যেটি কম, সে পরিমাণ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে। বিনিয়োগের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। পিপিপি’র কোম্পানির ক্ষেত্রে ৬শ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের একক গ্রাহক ঋণসীমা ও পরিশোধিত মূলধনের ২২ শতাংশের মধ্যে থাকতে হবে। বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও ৬০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের একক গ্রাহক ঋণসীমা ও পরিশোধিত মূলধনের ২০ শতাংশের মধ্যে থাকতে হবে।