নবাবগঞ্জে শিক্ষকের বেতের আঘাতে চোখ হারাতে বসেছে এসএসসি পরীক্ষার্থী
মোঃ ইয়ামিন সরকার
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে শিক্ষকের বেতের আঘাতে চোখ হারাতে বসেছে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। এই ঘটনায় শনিবার রাতে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক ।
আহত ছাত্র মো. আশিকুর রহমান (১৫) নবাবগঞ্জ উপজেলার দাঊদপুর কলেজ পাড়া গ্রামের মো. তোফায়েল আহমেদ বাবুর ছেলে ও দাউদপুর ইউনিয়নের হেমায়েতপুর চাইল্ড কেয়ার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। অভিযোগ রয়েছে এই স্কুলটির দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি নেই। তারপরও তারা অবৈধভাবে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করছে। জানা যায়, চাইল্ড কেয়ার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে প্রধান শিক্ষকের অলিখিত নির্দেশ রয়েছে কোনো ছাত্র একদিন স্কুলে না এলে তাকে দশটি বেতের আঘাত করা হবে। আশিকুর রহমান অসুস্থতার কারণে গত ১৬ জুলাই স্কুলে যেতে পারেনি। পরে ১৭ জুলাই স্কুলে গেলে শিক্ষক মানিক মিয়া তাকে বেত দিয়ে প্রহার শুরু করেন। এক পর্যায়ে আশিকুর ডান চোখে আঘাত পায়। এতে তার চোখ দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করলে তাকে দ্রুত বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেদিনই তাকে চক্ষু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চক্ষু ওয়ার্ডের চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক হারিসুল ইসলাম হিরু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আশিকুরকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। এ ব্যাপারে হারিসুল ইসলাম হিরু জানান, আশিকুরের ডান চোখের আঘাত গুরুতর। চোখ ভাল হবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী আশিকুরের মামা সাইফুল ইসলাম জানান, আশিকুরকে ঢাকায় হারুন আই ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসক বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। তার চোখের আইরিশ/রেটিনা বেতের তীব্র আঘাতে ছিটকে বেরিয়ে গেছে। তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, ৩২৩ ও ৩২৬ ধারায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামি শিক্ষক মানিক মিয়া পলাতক রয়েছেন। মামলার তদন্ত চলছে।
তবে চাইল্ড কেয়ার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামানকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি কেটে দেন ওব বিষয়টি এড়িয়ে যান।