দিনাপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামে গত শনিবার দিবাগত রাত্রে দুলি নামে একটি মেয়ে আত্নহত্যা করে। স্বামী জনি মিয়ার (২৫) বিরুদ্ধে স্ত্রী দুলি বানু (১৮) কে হত্যা করেছে না সে আতহত্যা করেছে। বিষটি এখনো জানা যায়নি।
তবে এ ঘটনায় থানা পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত কারন উদঘাটন করতে ইউডি মামলা গ্রহন করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ দিনাজপুর এর মর্গে প্রেরন করেছে।
গত ছয়মাস আগে ওই ইউনিয়নের পঁচা করঞ্জি গ্রামের রিক্সা চালক দুলাল মিয়ার মেয়ে দুলি বানুর সাথে হরিহরপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে জনি মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জনির দাবী অনুযায়ী ৮০ হাজার টাকা যৌতুকও দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর আরো যৌতুকের দাবীতে জনি মিয়া প্রায় দুলি বানুকে নির্যাতন শুরু করে।
গত শনিবার রাতে দুলি বানুর পরিবারের কাছে খবর আসে যে, সন্ধ্যা থেকে এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। সকালে দুলি বানুর মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার। সকালে হরিরামপুর গ্রামে গেলে প্রতিবেশিরা শাহজালালকে জানায় যে, ঝগড়ার জের ধরে রাতে জনি মিয়া কয়েক দফা নির্যাতন করে দুলিকে। সম্ভবত রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে দুলিকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।
পরে সকালে জনি মিয়া এলাকাবাসীকে বলতে থাকে যে দুলি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রেজওয়ানুল হক জানান, মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা অবগত হতে ইউডি মামলার মাধ্যমে লাশ মর্গে দেয়া হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সামসুল আলম জানান, পোস্ট মডার্ম রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে না নিজেই আতহত্যা করেছে।