ঝিনাইগাতীতে চোরাই গাছ জব্দ নিয়ে বনকর্মকর্তা ও বিজিবি সদস্যদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা
জামালপুর ও শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় গারোপাহাড়ের চোরাই গাছ জব্দ করাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মধ্যে এবং পরে তা স্থানীয় প্রশাসন, বনবিভাগ ও বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে মিমাংসা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার গজনী বিটের গান্ধিগাঁও এলাকায় চোরাই শাল-গজারীর গাছ জব্দ করা নিয়ে বিট কর্মকর্তা এবং স্থানীয় বিজিবি সদস্যদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বিট কর্মকর্তা আব্দুর রফিককে হাতকড়া পড়িয়ে বিজিবির সদস্যরা নকশী সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত না বলে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ জানান, বিট কর্মকর্তা ও বিজিবি সদস্যদের মধ্যে একটি বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির হয়েছিল। পরে তা মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে কে বা কারা গজনী বিটের গান্ধিগাঁও এলাকায় বনের শাল-গজারির গাছ কেটে বনের ভিতর ফেলে রাখে। বৃহস্পতিবার বিকালে টহল দিতে গিয়ে বিজিবি সদস্যরা গাছগুলো দেখতে পান। এ সময় তারা গাছগুলো জব্দ করে নকশী সীমান্ত ফাঁড়িতে আনার প্রয়াস নেন। এদিকে গাছ জব্দের খবর পেয়ে বনবিভাগের গজনী রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আব্দুর রফিক ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি বিষয়টি তার অধীন বলে জব্দ গাছ ফাঁড়িতে নিতে বাধা দেন। এ সময় বিজিবি’র নকশী ফাঁড়ির হাবিলদার মো. জামালের সাথে তর্ক বাধে বিট কর্মকর্তার। এক পর্যায়ে বিট কর্মকর্তা আব্দুর রফিকের হাতে হাতকড়া লাগিয়ে নকশী সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যান বিজিবি সদস্যরা। ঘটনা জানতে পরে ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ নকশী সীমান্ত ফাঁড়িতে আসেন। এরপর বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আনিসুর রহমান, বনবিভাগ ময়মনসিংহের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় বনকর্মকর্তা প্রাণতোষ কুমার রায় সীমান্ত ফাঁড়িতে পৌঁছান। তিন বিভাগের কর্মকর্তাদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে বিষয়টি মিমাংসার মাধ্যমে অবসান ঘটে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা প্রাণতোষ রায় বলেন, বিজিবি ও বনকর্মকর্তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসানে আমরা বসেছিলাম। ঘটনাটির মিমাংসা হয়ে গেছে।