কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দ আখতারুজ্জামানের মতবিনিময়
কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ
কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেছেন কৃষকলীগ নেতা, কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি, সাবেক চেয়ারম্যান বর্ষিয়ান নেতা সৈয়দ আখতারুজ্জামান কোক্কা। শনিবার রাতে ইউনিটির সকল সদস্য ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। একাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এই আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিকদের বলেন, জন্মগত ভাবে আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমার শ্রদ্ধেয় পিতা মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল হাসেম জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় রাজনৈতিক সহচর ছিলেন। তার দেয়া মনোনয়ন নিয়ে ১৯৭০ সালে কলাপাড়া-আমতলী আসন থেকে এমসিএ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি একাধারে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডে সাথে জড়িত ছিলেন। তার মৃত্যুতে শুন্যতা সৃষ্টি হলে আমাকেই তার নেতৃত্বের শুন্যতা পূরনে এগিয়ে আসতে হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ বছর ধরে টিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলাম, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। বর্তমানে কলাপাড়া আওয়ামী লীগের সদস্য, জেলা কৃষকলীগের সদস্য, সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কলাপাড়া শাখাসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছি।
তিনি আরো বলেন, মুজিব আদর্শকে বুকে ধারন করে আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে বারবার নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। আমার বাসা-বাড়ীতে বারবার হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেয়া হয়নি। নানা সময় বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী লীগ নামধারী কতিপয় অতি উৎসাহী হাইব্রিড মার্কা মানুষের রোসানলে পরে আমি সামাজিক, আর্থিক ও মানসিক হয়রানীর স্বীকার হয়েছি। ২০০৫ সালে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কলাপাড়ায় সমাবেশকালে আমার বাড়ীঘড় ভাংচুর করে। আমার উপর চড়াও হয়ে আমার ডান হাত ভেঙ্গে দেয়। আমাকেসহ আমার একমাত্র পুত্রকে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। এমনকি ইউপি নির্বাচনে নিশ্চিত বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়া হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রূপকার, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ যাকে মা হিসাবে আখ্যায়িত করেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে ১১৪পটুযাখালী৪ আসন থেকে মনোনয়ন দেয় তাহলে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা, দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর, ১৩২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলসসহ যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজগুলো তিনি হাতে নিয়েছেন তার একজন বিশ্বস্ত সৈনিক হিসাবে কাজগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগনকে সাথে নিয়ে নিরালস ভাবে কাজ করে যাব।