May 20, 2024, 6:43 am

সংবাদ শিরোনাম
শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশের অভিযানে ১৯,৬০০ কেজি ভারতীয় চিনিসহ ০৩ জন গ্রেফতার উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে অভিযানে ৪ আরসা সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার রাজধানীর ডেমরা এলাকা হতে আনুমানিক ছয় কোটি টাকা মূল্যমানের ৮৬০০ লিটার বিদেশী মদসহ ০৩ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ উলিপু‌রে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক কাউনিয়ায় (ব্লাস্ট) এর উদ্দোগে ধর্মীয় সম্প্রীতির উপরে আলোচনা সভা কুড়িগ্রামে ১ টাকায় ১০ টি পরিবেশ বান্ধব পাখা বিক্রি করছে ফুল জৈন্তাপুরে গভীর রাতে পুলিশের অভিযানে ৬১৫ বোতল মদ ৮ কেজী গাঁজা উদ্ধার রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ ক্ষেতলালে কলেজ প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সার্কেল হিসেবে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানার যোগদান

ইফতারি সাজানো থাল বা খাঞ্চা কি?

জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তর জনপদ সিলেট নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভাস্বর।আপন স্বকীয়তায় এখানকার মানুষ উদ্ভাসিত।সিলেটের মানুষের চাল-চলন,আতিথেয়তা,সংস্কৃতি,স্বতন্ত্র ঐতিহ্যের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে সুদূর বিদেশেও বিস্তৃত।অতিথি আপ্যায়নে সিলেটের মানুষের রয়েছে দারুণ সুখ্যাতি। তেমনি অতিথি হিসেবে কারো বাড়িতে যাবার সময় নানান কিসিমের মৌসুমী ফল-ফলাদি,মিষ্টি-মিঠাই বা পছন্দমতো যে কোনো জিনিস সঙ্গে করে নেওয়ার রেওয়াজও এখানে অনেক পুরনো।বিশেষ করে সিলেটের একান্ত আপন ঐতিহ্য হচ্ছে রমজান মাসের প্রথম রমজানে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ইফতারির দিয়ে সাজানো খাঞ্চা (বড় থাল) নিয়ে যাওয়ার রেওয়াজ। সিলেটি ভাষায় যেটাকে বলা হয় ‘ফুরির বাড়ি ইফতারীর থাল’।

তারই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পৌরশহরে গতকাল শুক্রবার ভিন্ন ভিন্ন সাজে সাজানো বড় বড় থাল বা খাঞ্চা নিয়ে মেয়ে শ্বশুর বাড়ী যেতে দেখা গেছে। আবার অনেকেরই মেয়ের জামাই,মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়ি,মেয়ের জা’দের জন্য আলাদা করে থাল সাজিয়ে নিয়ে যান।তবে এসব নিয়ে যাওয়ার জন্য মেয়ের ছোট ভাই-বোনদের পাঠানো হয় অথাৎ জামাইয়ের শালা-শালী।সাধারণত নতুন আত্মীয়তা হলে সাজানো থাল বা খাঞ্চা নেওয়া হয়। ইফতারি দিয়ে সাজানো থাল বা খাঞ্চায় খাদ্য সামগ্রীর মেন্যুতে মিষ্টি, জিলাপি, নিমকি,খাজা,আমির্তি,বাখরখানি ছাড়াও মৌসুমী ও দেশি-বিদেশি ফল-ফলাদি,চানা, পিঁয়াজু, পোলাও,চপ,বেগুনি ও শাকের তৈরি বিভিন্ন ধরনের বড়া ইত্যাদি দিয়ে সাজানো থাকে।

আধুনিকতার এই যুগেও অনেকে নতুন আত্মীয়ের বাড়ির ইফতারির থাল খাবার জন্য সুদূর প্রবাস থেকেও দেশে আসেন।আবার অনেকের মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে বিদেশে থাকলেও লোক মারফত জামাইর দেশের বাড়িতে ইফতারি দিয়ে সাজানো থাল বা খাঞ্চা পাঠিয়ে দেন।আবার সময় মতো ইফতারি দিয়ে সাজানো থাল বা খাঞ্চা দিতে না পারলে কোথাও কোথাও হালকা ঝগড়া-ঝাঁটি বা মনোমালিন্যও হয়।প্রবীণদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, আগেকার দিনে কোনো কোনো বদ মেজাজি পেটুক বা লোভী বরকে ইফতারি থালে খাদ্য সামগ্রী একটু কম বা কিছুটা নি¤œমানের হলে রাগ গোসা করতেও দেখা যেত।আর এ জন্যই ইফতারি থাল

সাজানো নিয়ে মা-চাচীরা ২-৩দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতেন।কিন্তু বর্তমানে বাজারে এ ধরনের অনেক ইফতারি দিয়ে সাজানো থাল বা খাঞ্চা পাওয়া যায়। জগন্নাথপুর থেকে ইফতারি থাল কিনছিলেন হাজী এখলাছুর রহমান আখলই মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি। কথা হয় তার সঙ্গে।মেয়ের বাড়িতে দিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে হাজী এখলাছুর রহমান আখলই বললেন,‘ফুরির বাড়ি ইফতারি থাল না দিলে ওইবো না কিতা? দিলাইছি পাঠাইয়া।পরে আরো একবার দিমু। তার কথার মর্মার্থ হচ্ছে-‘মেয়ের বাড়ি ইফতারি সাজানো থাল বা খাঞ্চা না দিলে কি চলে? এক দফা দিয়েছি। আরো এক দফা দেব।’

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৯মে২০১৮/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর