May 29, 2024, 1:53 pm

সংবাদ শিরোনাম
রংপুর সিটির তিন মাথায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু, ইউপি চেয়ারম্যান ও ভবন মালিকের যোগসাজসে গোপনে লাশ দাফন আদমদীঘির ধান শরিয়তপুরে উদ্ধার; গ্রেপ্তার-২ অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৬ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান এলাকা হতে গাঁজা ও বিদেশী পিস্তলসহ কুখ্যাত অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী সাগর’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কায় চালকের মৃত্যু ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে উপকুলের সতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত কুড়িগ্রামে বেবী তরমুজের চাষে তিন মাসে আয় দেড় লাখ টাকা মাঝরাত্রে প্রবাসীর ঘরে ঢুকে স্ত্রীও মা কে ছুরি মেরে পালালো দুর্বৃত্তরা বগুড়ার শিবগঞ্জে জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন: এমদাদুল আহবায়ক রবি সদস্য সচিব গাইবান্ধা প্রেসক্লাব’র কমিটি গঠিত

৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত অর্থ পাচার প্রতিরোধ বিধিমালার খসড়া তৈরি

অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে থাকবে জাতীয় সমন্বয় কমিটি * অনুসন্ধানে নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করবে সংস্থা * দুদক নিজে এবং অন্য সংস্থায় কমিটি চার্জশিটের অনুমোদন দেবে * যৌথ সংস্থার তদন্ত তদারক করবে বিএফআইইউ

অর্থনৈতিক ডেস্কঃ

আইন সংশোধনের তিন বছর পর অবশেষে মানি লন্ডারিং আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার।

২০১৫ সালের নভেম্বরে আইনটি সংশোধন করে তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে দুদকের পাশাপাশি সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

তবে বিধির অভাবে এসব সংস্থার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এমনকি সংশোধিত আইনের কারণে দুদকও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আইনে যে শুধু ‘ঘুষ দুর্নীতি’ তদন্তের এখতিয়ার দেয়া হয় সংস্থাটিকে।

আবার চার সংস্থার তদন্ত শেষে অর্থ পাচার মামলার চার্জশিট অনুমোদন করবে কে, সেটিও নির্ধারিত ছিল না আইনে। এ বাস্তবতায় সরকার ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৮’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে। এর ওপর দুদক, সিআইডি, এনবিআর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ অংশীজনের মতামত নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মহাপরিচালক আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান রোববার  বলেন, আমরা যে বিধি করতে যাচ্ছি, তাতে তদন্ত সংস্থাগুলোর অনুসন্ধান ও তদন্ত সংক্রান্ত দায়িত্ব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকবে।

আইনে দুদককে যে ক্ষমতা দেয়া আছে, সেটাই থাকছে। বিধি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে অংশীজনের মতামত নেয়া হচ্ছে। এরপর এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত সংস্থার (সিআইডি) প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শেখ হিমায়েত হোসেন রোববার প্রাইভেট ডিটেকটিভকে বলেন, বিধির বিষয়ে আমরা পুলিশের হেডকোয়ার্টার্সের সঙ্গে সভা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।

খসড়া বিধিমালায় বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রধানের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সমন্বয় কমিটি থাকবে।

সরকারের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তা গঠিত হবে। এ কমিটি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করবে।

বলা হয়, তদন্তকারী সংস্থার নিজস্ব সংস্থায় বিদ্যমান পদ্ধতি অনুসরণ করে তদন্ত কর্মকর্তা ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন। তদন্ত শেষে নিয়ম অনুযায়ী তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন।

যদি ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারেন, তবে তদন্ত কর্মকর্তা যুক্তিসঙ্গত কারণ উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করলে তিনি আরও ৪৫ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় পাবেন। এরপর তাকে আর সময় দেয়া হবে না।

বরং তিনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধির আওতায় বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে।

অভিযোগ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ৩০ কার্যদিবস সময় পাবেন। এর মধ্যে তিনি অনুসন্ধান শেষ করতে না পারলে আরও ১৫ কার্যদিবস সময় পাবেন। মানি লন্ডারিং অপরাধের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সংস্থা তার নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করবে।

দুদক তার নিজস্ব (কমিশন) সিদ্ধান্তে এবং অন্য সংস্থার ক্ষেত্রে সংস্থার প্রধানসহ দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি চার্জশিটের অনুমোদন দিতে পারবে। যৌথ সংস্থার তদন্ত তদারক করবে বিএফআইইউ।

প্রস্তাবিত বিধিমালার একাদশ অধ্যায়ে তদন্তকারী সংস্থার দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা হয়েছে। বলা হয়, তদন্তকারী সংস্থা অনুসন্ধান শেষে নিজস্ব সংস্থার একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে মনোনয়ন দেবে।

তবে কোনো তদন্ত যৌথ তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনা করতে হলে বিএফআইইউ’কে লিখিতভাবে অনুরোধ করবে। তদন্ত শেষে তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগনামা পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের জন্য নিজস্ব আইনজীবী প্যানেল বা পিপির পরামর্শ নেবে।

তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা কেস ডায়েরি প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করবেন। তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত কার্যক্রম তদারকির জন্য জাতীয় বেতন স্কেলে ৮ম ধাপে বেতন উত্তোলন করেন, এ পর্যায়ের নিচে নন- এমন একজন তদারককারী কর্মকর্তাও নিয়োগ করতে হবে।

তদন্ত চলাকালে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তির বক্তব্য নেয়া দরকার, তাহলে তাকে নোটিশ দিয়ে মৌখিক বা লিখিত বক্তব্য নেয়া যাবে। তার ওই বক্তব্য নথিতে অন্তর্ভুক্ত হবে।

আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন পদ্ধতির বিষয়ে বিধিতে বলা হয়, মানি লন্ডারিং অপরাধের অভিযোগ তদন্তের পর কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারের সুপারিশ করে উপযুক্ত আদালতে মামলা করার ক্ষেত্রে আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী তদন্তকারী সংস্থার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।

এরূপ অনুমোদনের একটি কপি আদালতে জমা দেয়া না হলে আদালত অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করবেন না। মানি লন্ডারিংয়ের কোনো অপরাধে যৌথ তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে তদন্তের প্রয়োজন হলে বিএফআইইউ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে একটি নির্দিষ্ট সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি যৌথ তদন্ত দল গঠন করবে। যৌথ তদন্তের ক্ষেত্রে তদন্ত দলের প্রধানের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা অনুমোদন দেবে।

খসড়া বিধির দ্বিতীয় অধ্যায়ে জাতীয় সমন্বয় কমিটির কার্যক্রম ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা থাকবে, যেটি গ্রাহকের বিষয়ে যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবে।

কোনো লেনদেন মানি লন্ডারিং বা সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন সংশ্লিষ্ট বলে সন্দেহ হলে বা গ্রাহক পরিচিতির সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। উচ্চ ঝুঁকির গ্রাহকের বিদ্যমান তথ্যাদি নিয়মিত পর্যালোচনা করে হালনাগাদ করবে।

রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহক ও প্রকৃত সুবিধাভোগী গ্রাহকের জন্য জীবন বীমা, সাধারণ বীমা ও অন্যান্য বিনিয়োগ সম্পর্কিত বীমা পলিসির বিষয়েও সতর্কতামূলক নেবে।

গ্রাহকের লেনদেনের রেকর্ড সংরক্ষণ করবে, যাতে প্রয়োজনে তা বিচারের ক্ষেত্রে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বলা হয়, যেসব গ্রাহকের লেনদেন এক লাখ টাকা বা তার চেয়ে বেশি বা বিএফআইইউ কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত পরিমাণ অর্থের সমান হয়, সেসব লেনদেন ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে।

চতুর্থ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, বিএফআইইউ যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত তথ্যাদি চাইতে পারবে। বিএফআইইউ’র গোপনীয় বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বা অন্য কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার নিরীক্ষার আওতাভুক্ত হবে না।

তবে বিএফআইইউ’র প্রধান কর্তৃক মনোনীত তার অধস্তন কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত কমটি গোপনীয় বিষয়গুলোয় নিয়মিত অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর পদমর্যাদায় বিএফআইইউ’র একজন প্রধান থাকবেন। যিনি এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রধান হিসেবে সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।

পঞ্চম অধ্যায়ে বলা হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা বিএফআইইউ থেকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অনুসন্ধান বা বিশ্লেষণের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করবে এবং প্রতিবেদনটির গোপনীয়তা সম্পর্কে নির্দেশনা দেবে।

তদন্তকারী সংস্থা ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করতে পারবে না এবং বিএফআইইউ’র কোনো কর্মকর্তাকে আদালতে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না। অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়ে কোনো বিদেশি ব্যক্তির সম্পৃক্ততা উদ্ঘাটিত হলে তদন্তকারী সংস্থা অভিযুক্ত বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বিদেশি এফআইইউ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য বিএফআইইউকে অনুরোধ করবে।

বিদেশি এফআইইউ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের গোপনীয়তা কঠোরভাবে রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই যাচনাপত্রে উল্লিখিত উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। তদন্তকারী সংস্থা বিএফআইইউ থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য নিয়মিতভাবে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিএফআইইউকে অবহিত করবে।

ষষ্ঠ অধ্যায়ে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্ব তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন, লাইসেন্স বা ব্যবসার অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে ‘বাজারে প্রবেশের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা’বিষয়ক নিয়মাবলি জারিপূর্বক বাস্তবায়ন করবে।

কোনো অপরাধী বা তাদের সহযোগী যাতে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার ব্যবস্থাপনার কাজে বা তা পরিচালনায় বা নিয়ন্ত্রণে কোনো ধরনের সুবিধাভোগী হিসেবে জড়িত হতে না পারে, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ তা নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশে কোনো ‘শেল ব্যাংক’ স্থাপনে বা তার কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো অনুমতি দেবে না। প্রতিটি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ তাদের আওতাধীন সংস্থার মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য নিজ নিজ সংস্থায় একটি নির্দিষ্ট উইং বা সেকশন প্রতিষ্ঠা করবে।

অষ্টম অধ্যায়ে বলা হয়, এ আইনের উদ্দেশ্যপূরণ কল্পে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তাদের নিকট সংরক্ষিত বা সংগৃহীত তথ্য অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বা স্বপ্রণোদিতভাবে বিএফআইইউকে সরবরাহ করবে।

যদি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সন্তোষজনক কারণ দর্শানো ব্যতীত অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ থেকে বিরত থাকে, তাহলে বিএফআইইউ বিষয়টি জাতীয় সমন্বয় কমিটি বা ওয়ার্কিং কমিটির কাছে উপস্থাপন করবে।

তদন্তকারী সংস্থা মানি লন্ডারিং, সম্পৃক্ত অপরাধ চিহ্নিতকরণ ও খুঁজে বের করার জন্য অভ্যন্তরীণভাবে সহজলভ্য গোয়েন্দা তথ্য বৈদেশিক সহায়ক পক্ষের সঙ্গে বিনিময় করতে পারবে। তদন্তকারী সংস্থা বৈদেশিক সহায়ক পক্ষের ব্যবহৃত তদন্ত কৌশলসহ দেশে প্রচলিত আইন অনুসারে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

 

 

 

 

 

 

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৩এপ্রিল২০১৮/ইকবাল

 

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর