মিজানুর রহমান, বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃঃ
সুনামগঞ্জ জেলা থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে সিএমভি প্রধান সড়কটি তাহিরপুরবাসী ও তৎপার্শ্ববর্তী মধ্যনগর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা উপজেলার জনগোষ্ঠীর একমাত্র যোগাযোগের ভরসা। সম্প্রতি পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির ফলে সুনামগঞ্জ টু তাহিরপুর প্রধান সড়টি খানাখন্দে ভরপুর হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি নেমে যাবার পর ইট ও সুড়কি দিয়ে মেরামত হয়েছিল।
কিন্তু অতিবৃষ্টি ও ভারী যান চলাচলে রাস্তার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরন ফাদে পরিণত হয়েছে। এ রাস্তার লেগুনা ড্রাইভার মধু মিয়া বলেন, জীবনের ঝুকি নিয়া গাড়ি চালাইতাছি,সুনামগঞ্জ একবার আইলেই গাড়ির মাজা ভাইঙ্গা যায়,যাত্রিরা চিল্লায়। সিএনজি ড্রাইভার আবিদুর রহমান বলেন, এ রাস্তা দিয়া গাড়ি চালাইতে মনে চায় না,আমার গাড়ি ভাইঙ্গা শেষ সাংবাদিক ভাই। নাভানা ড্রাইভার তোফাজ্জুল হোসেন জানায়, আমি প্রতিদিন গাড়ি চালাইয়া ভাত খাই, কিন্তু বন্যার পর সুনামগঞ্জ থাইক্যা তাহিরপুর একবার গেলে আমার গাড়ির অবস্থা বেহাল দশা হয়,তেমনি গাড়িতে নানান সমস্যা তৈরী হয়। আমার গাড়ির গড়া ভাইংগা গেছে। রাস্তার ঠিক না অইলে আমি সুনামগঞ্জ থাইক্যা আর তাহিরপুর যাইতাম না। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জেলার আব্দুল জহুর সেতুর পশ্চিম পাশের রাধানগর পয়েন্ট,লালপুর বাজার, সালামপুর,শক্তিয়ারখলা বাজার ও আনোয়ারপুর বাজারের প্রধান প্রধান সড়কগুলো ভেঙ্গেচুড়ে একাকার হয়ে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কের কার্পেটিং ও স্লোপের ইট উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ঐ গর্তে পানি জমে ছোট ছোট ডোবায় পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে গর্র্তের পানি কাদায় পরিণত হয়ে যাতায়াতকৃত মানুষের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে অস্বস্থিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। অহরহ ঘটছে নানা দুুর্ঘটনা এরই মধ্য্যে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদের মাধ্যমে রাস্তা মেরামতের কাজ বর্তমানেও চলমান। এ থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ভোক্তভোগী জনগনের আকুতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তোলা। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীর বিশ্বাস জানান, এ বন্যায় রাস্তা সহ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে এবং রাস্তা মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে।