যশোরের ঝিকরগাছায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুতুল দাস (১৭)
নামক এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার রাজাপুর সুইপার পল্লীতে স্বামী প্রদীপ দাস
শয়নকক্ষে তার গায়ে আগুন দিলে হাসপাতালে নেবার পথে মৃত্যু হয়।
বছর খানেক আগে শার্শার বাগআঁচড়ার মৃত সাধন দাসের মেয়ে পুতুল দাসকে বিয়ে
করেন প্রদীপ দাস। প্রদীপ দাস উপজেলার রাজাপুর সুইপার পল্লীর কিশোর দাসের
পালিত ছেলে।
প্রতিবেশী যিতিন্দ্র দাস জানান, রাত ১১টার দিকে পুতুলের চিৎকার শুনে এসে
দেখে ঘরের মধ্যে আগুন জ্বলছে। তখন ঘরের দরজার তালা খোলার জন্য প্রদীপকে
ডাকলে সে বলেন চাবি পাচ্ছিনা। দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখেন পুতুলের সারা
গায়ে আগুন জ্বলছে। তখন প্রদীপ পুতুলের গায়ের আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন।
প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেখান থেকে যশোর ২৫০ শয্য
জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে খুলনা নেবার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত পুতুলের মা পুষ্প দাস জানান, প্রদীপ সব সময় নেশা করে পুতুলকে মারধর
করত। আগেও দুইবার তার মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল।
নিহত পুতুল দাসের মামী লক্ষীদাসী জানান, মৃত্যুর আগে পুতুল জানায়
প্রদীপের সাথে তার ঝগড়া হলে সে তাকে বলেছিল আমাকে ভালবাসলে তুই গায়ে আগুন
দে। তাই গায়ে আগুন দিয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুতুল দাস নিজে গায়ে আগুন
দিলেও প্রদীপ না নিভিয়ে ঘর বন্ধ করে বসে থাকার বিষয়টি রহস্যজনক। প্রদীপ
দাসেরও দুই হাত পুড়ে গেছে। সে পুলিশ হেফাজতে যশোর ২৫০ শয্য জেনারেল
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল)
জুয়েল ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।