May 8, 2024, 11:37 pm

সড়কেও ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ছে

সড়কেও ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ছে

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

রেলের মতো সড়কপথেও ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়া শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বাস টার্মিনালগুলোতে ঈদের চাপ লক্ষ্য করা না গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ঘরে ফেরার উদ্দেশে মানুষের ঢল। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। একাধিক যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার অফিস শেষ করে বুধবার থেকে বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি ফিরবে। আবার অনেকে অর্ধেক বেলা অফিস করে রওনা দিয়েছেন গতকাল মঙ্গলবার ই। এ কারণেই দুপুরের পর ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। তবে মূল ভিড় বুধবার থেকে হবে বলে জানিয়েছেন কাউন্টারগুলোর প্রতিনিধিরা। বাসের টিকিট বিক্রেতারা জানান, অগ্রিম টিকিটগুলো আগে থেকেই বিক্রি হয়ে যাওয়ার কারণে মানুষের চাপ কম দেখা যাচ্ছে। যেহেতু টিকিট আগে থেকে কাটা, তাই মানুষ যথা সময়ে আসছে এবং বাসে উঠে যাচ্ছে। এমনকি বাসও পূর্বনির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে। এ ছাড়া গাবতলী-কল্যাণপুর এলাকার রাস্তায় কোনো যানজটও নেই। তবে বরিশাল, যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা রুটের বাসগুলোকে আরিচা ফেরিঘাটে দীর্ঘসময় ধরে যানজটে ভুগতে হচ্ছে। তাই বাস আসতে দেরি হচ্ছে ও কিছুকিছু বাস ছাড়তে দেরি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ পরিবহনগুলো বিকল্প ব্যবস্থা বা অন্য বাস আগে থেকে রেডি রাখছে। কেননা ফেরিঘাটের সমস্যাটা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ রুটের বাসগুলোর ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায় নি। এমনকি উত্তরবঙ্গের কাউন্টারবিহীন বাসগুলো দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ডেকে ডেকে যাত্রী উঠাতে দেখা গেছে।যাত্রীদের ভিড়। ছবি: ডিএইচ বাদলঢাকা-গোপালগঞ্জ-বরিশাল রুটে চলাচলকারী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা মঈনুল বলেন, যাত্রীদের চাপ বাড়লে আজ থেকেই আমাদের অতিরিক্ত বাস চলাচল শুরু হয়ে যেতো। কিন্তু আমাদের অগ্রিম টিকিটেরই দুই একটা করে সিট খালি আছে। যেমন- কালকের দিনের বাসগুলোতে গড়ে ৪টা সিট এখনও খালি আছে। তবে রাতের বাসগুলোতে খালি নেই। কাল থেকে যাত্রীরা আসা শুরু করবে। তখন আমরা অতিরিক্ত বাস সার্ভিস চালু করব। তবে বরাবরের মতো আমরা ফেরিঘাটের জ্যামের ব্যাপারে দুঃচিন্তায় আছি। যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরা রুটের পরিবহনগুলোর একই দুঃচিন্তা থাকলেও উত্তরবঙ্গের বাসগুলোর ক্ষেত্রে ফেরিঘাটের দুরাবস্থার চিন্তা না থাকলেও চন্দ্রার পর থেকে টাঙ্গাইল হয়ে যমুনা সেতুর আগ পর্যন্ত জ্যাম হবে কি না সে ব্যাপারে চিন্তিত থাকতে দেখা গেছে।বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড়। ছবি: ডিএইচ বাদলএছাড়া তারাও যাত্রি বাড়লে অতিরিক্ত পরিবহন রেডি আছে বলে জানিয়েছেন। এদিকে, বগুড়াগামী শাহজাদপুর ট্রাভেলসের যাত্রী নাঈমা বলেন, গাবতলীতে ঈদের সময় বাসে উঠতে গেলে আগেভাগে আসি। এবার আগে এসে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়েছে। কারণ বাস টার্মিনাল এলাকায় সিগ্ন্যাল ছাড়া কোনো দীর্ঘ যানজট নেই। যা সবসময় থাকে। এখন বাড়িতে আমি, মা আর আমার ছোটভাই যাচ্ছি। বাবার ছুটি শুরু ১৪ তারিখ থেকে। তিনি অই সময়ই আসবেন। রাস্তায় কোনো জ্যাম না থাকলে আর কোনো অসুবিধা হবে না আশা করছি। সেইসঙ্গে বাসের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের তেমন কোনো খবর পাওয়া যায় নি। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অগ্রিম টিকিটের ক্ষেত্রে ব্ল্যাকে টিকেট পাওয়ার ঘটনা ছিলো। সেক্ষেত্রে কিছুটা দাম বেশি দেখা গেছে। আর এখন সিট প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছে এবং তাও কোম্পানির ঠিক করা নির্দিষ্ট রেট। এ ক্ষেত্রে যাত্রিদেরও কোনো অভিযোগ নেই। কল্যাণপুর ও গাবতলী এলাকায় বাসের কাউন্টারগুলোর পাশে মিরপুরের দারুস সালাম থানার অন্তর্গত কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার দেখা গেছে। যেখানে মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা যে কোনো অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা যেমন ছিনতাই, চুরির মত বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও বাসের টিকিটে অতিরিক্ত ভাড়া মনিটরিং, এমনকি ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। যার কারণে এই এলাকায় কোনো যানজট লক্ষ্য করা যায় নি। দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, গাবতলীতে আমাদের কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। আর কল্যাণপুরে কন্ট্রোল রুম। আমরা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি। তাই যানজট নেই, থাকবেও না আশা করি। এ ছাড়া নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো ছাড় নেই। এ ব্যাপারে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর