May 8, 2024, 5:42 pm

সংবাদ শিরোনাম
রগ কেটে যুবক হত্যা, গ্রেফতার ৪ বিধিমালা উপেক্ষিত পটুয়াখালীতে ইউসিসি’র পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ ভোলায় জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি শাহিন ফকির সরিষাবাড়ীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন রংপুর নগরীরতে ভোক্তা অধিকার ও নিরাপদ খাদ্যের তদারকি পীরগঞ্জে   নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে মুখ খুলছেনা ভোটার উলিপুরে কয়েলের আগুনে একটি গোয়ালঘর পুড়ে আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সুন্দরগঞ্জ আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তার সাফল্য রাঙ্গাবালীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ ১ থেকে ৭ ই মে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পেতে প্রধান মন্ত্রী বরাবরে দরখাস্ত প্রদান

প্রসূতি মায়ের যত্ন

প্রসূতি মায়ের যত্ন

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

‘মা’ এমন একটি শব্দ যা উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়, মনটা ভরে যায়। কিন্তু এই মা হতে গিয়ে একটি মেয়েকে কত যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তার যে কত শারীরিক ও মানসিক  য় তির সম্ভাবনা থাকে এবং যা প্রয়োজনীয় প্রসূতির জন্য সে সম্বন্ধে আমাদের সবার একটা মোটামুটি ধারণা থাকা দরকার। যাতে করে সেই বিশেষ সময়টিকে প্রসূতি মায়ের উপযুক্ত পরিচর্যার ভার হাতে নিতে সক্ষম হই। মাতৃজঠরে শিশুর অবস্থাকাল হলো ৪০ সপ্তাহ। এই ৪০ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে কত রকমের বিপর্যয়ের সম্মুখীন যে হতে পারেন মা এবং গর্ভস্থ শিশু উভয়েই তার একটা মোটামুটি ধারণা থাকা আমাদের প্রত্যেকেরই দরকার।

এই বিপর্যয়গুলো আমরা অতি সহজেই এড়িয়ে যেতে পারি যদি একটু সতর্ক হই এবং প্রসূতি মায়ের প্রয়োজনীয় যত্ন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এই যত্ন নেয়ার মুখ্য উদ্দেশ্য হলো কোন জটিলতা ছাড়া সুস্থ পরিবেশে প্রসব করানো এবং সুস্থ মা ও স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্মলাভ নিশ্চিত করা।

আমাদের এই দেশ গ্রামবাংলার দেশ। গ্রামে-গঞ্জে ডাক্তারের অভাব আজও রয়েছে। কিন্তু অভাব আছে বলেই হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের হাতে যা আছে তা নিয়েই আমাদের মায়েদের জীবন রক্ষার উপায় খুজে বের করতে হবে। বেশীরভাগ প্রসূতির প্রসব হয় গ্রামের তথাকথিত দাই বা ধাত্রীর হাতে। এই দাই বা ধাত্রীরা অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত, কিন্তু মোটামুটিভাবে বুদ্ধিমতি এরা বংশপরম্পরায় ধাত্রীর কাজ করে থাকে। তাই এরা প্রসূতি মায়ের কাছে সহজে গ্রহণীয় এং অনেকটা আপন আÍীয়ের মত। এদের সঙ্গে সন্তানসম্ভবা মা খুব স্বাভাবিক ও সহজভাবে মিশে যায়।

সুতরাং আমরা যদি দাই বা ধাত্রীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি তবে অনেক মা ও শিশুকে বাঁচাতে ও সুস্থ রাখতে সক্ষম হবো।

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা তাদেরকে একটি মোটামুটি ধারণা দেব যাতে স্বাভাবিক ও সহজ ডেলিভারীগুলো স্বাস্থ্যকর উপায়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মধ্যদিয়ে তারা করতে পারেন এবং জটিল রোগিণীকে কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য উপদেশ দেন।

প্রসবের পূর্ববর্তী সময়ে, প্রসবকালে এবং প্রসব পরবর্তী সময়ে মাকে সাহায্য করা ডাক্তারের কর্তব্য।

প্রসবের পূর্বে প্রথম ৩ মাসের পর হতে শুরু করে ৭ মাস পর্যন্ত অন্ততঃ একবার ডাক্তারের পরামর্শ ও পরীক্ষা করানো দরকার। ৭ মাস সময় হতে ৯ মাস পর্যন্ত মাসে দু’বার ও এরপর প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে অন্ততঃ একবার ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

এই সময়ে রোগিণীর রক্তের হিমোগ্লোবিন পারসেনটেজ দেখা, ওজন নেয়া, ব্লাড প্রেসার চেক করা এবং বাচ্চার পজিশন স্বাভাবিক আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখা ডাক্তারের প্রাথমিক কর্তব্য।

পরবর্তীতে মাকে ৭ মাসে ও ৮ মাসে দুটো টিটামল ইনজেকশন দিয়ে মারাÍক সংক্রামক বাধি টিটেনাস হতে মা ও গর্ভস্থ শিশু উভয়কেই রক্ষা করা সম্ভব। আজকাল সরকার প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই ইপিআই সেন্টার খুলেছে এবং সেখানে এই ইনজেকশন বিনা পয়সায় দেয়ার ব্যবস্থা আছে। সব ব্যবস্থাই আমাদের হাতের কাছে আছে, শুধু জানা দরকার কখন কি করা প্রয়োজন।

প্রসবকালে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ এবং কোন অভিজ্ঞ নার্স বা দাইকে পাশে রাখা দরকার; এতে করেও মায়ের মনের জোর বাড়ে। এবং যিনি প্রথমবারের মত মা হচ্ছেন তাকে কোন আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত হাসপাতালে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

প্রসবের পর যারা শারীরিকভাবে দুর্বল থাকেন, এই সময় শিশুর পরিচর্যার ভার তার উপর ন্যস্ত না করে অভিজ্ঞ সাহায্যকারিণী ব্যবস্থা করে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে পারেন।

মায়ের বুকের দুধ শিশুর একমাত্র আদর্শ ও সুষম খাদ্য। এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিলাভ ছাড়াও শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সুতরাং আমাদের মায়েদের শিশুকে বুকের দুধ নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিতে হবে। এইভাবে প্রসূতির যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থা করে আমরা একল্ামসিয়া নামক মারাÍক ব্যাধি, টিটেনাস নামক সংক্রামক ব্যাধি এবং প্রসবজনিত নানা রকম জটিলতার হাত হতে মা ও শিশু উভয়কেই রক্ষা করতে সক্ষম হবো। এখন আসা যাক অতি প্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যক পরিবার পরিকল্পনা সম্বন্ধে। প্রসুতি মাকে পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগুলি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান দান করতে হবে, যাতে করে কোলে বাচ্চা থাকা অবস্থায় পুনরায় সে গর্ভবতী হয়ে না পড়ে। এই সময় সাধারণতঃ শিশু বুকের দুধ পান করলে মা সহজে গর্ভবতী হন না।

তবু এর ব্যতিক্রম আছে এবং সে জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

এই সময় ৪ দিন হতে কপারটি নামক অতি আধুনিক কন্ট্রাসেপটিভ ডিভাইস ব্যবহার করা বিজ্ঞানসম্মত এবং নিরাপদ। যিনি প্রথমবারের মত মা হয়েছেন তার জন্য এবং যিনি একের অধিক সন্তানের জননী তাকে পরিবার পরিকল্পনার বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি এবং এর উপকারিতার আলোচনার মধ্যদিয়ে স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ বা টিউবেকটমি গ্রহণে সাহায্য করতে হবে। কারণ বিরতি না দিয়ে ঘন ঘন সন্তান গর্ভে ধারণ করলে মা ও শিশু দু’জনেরই স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাবে এবং গোটা পরিবারের শান্তিই তাতে বিঘ্নিত হবে।

 

 

 

আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায়

এফএনএস হেলথ ডেস্ক ঃ আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আপেল অত্যন্ত উপকারী ফল। চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হয়, যে লোক প্রতিদিন একটি করে আপেল খাবে সে সারাবছর ডাক্তার থেকে দূরে থাকবে। পুষ্টিমানের দিক থেকে আপেলের জুড়ি নেই।

প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে রয়েছে শর্করা ১৮.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০ মিঃ গ্রাম, লৌহ ১.০ গ্রাম, ভিটামিন সি ৪ মিঃ গ্রাম এবং খাদ্যশক্তি ৭৬ ক্যালোরী। এ ছাড়া রয়েছে প্রচুর জৈব এসিড। আমাদের দেহে প্রতিনিয়ত ক্ষতিকর পদার্থ ফ্রির‌্যাডিক্যালস তৈরী হচ্ছে যা হৃদ রোগ ও ক্যান্সারের মত জটিল সমস্যা তৈরী করছে। এই সমস্ত ক্ষতিকর পদার্থ প্রশমিত করার জন্য দরকার এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আপেলের মধ্যে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। আপেলে থাকা পেকটিন ও ভিটামিন সি রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। দাঁত ও হাড় গঠনে এবং দন্তক্ষয় রোধে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ যা আপেল খেলে পাওয়া যায়। আপেলে রয়েছে পেকটিন যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে অস্বস্তির হাত থেকে রক্ষা করে। আপেলের পরিবর্তে আমরা দেশীয় ফল খেতে পারি, যাদের পুষ্টিমান আপেলের কাছাকাছি যেমন- আমলকি, পেয়ারা, আমড়া, লেবু, গাজর, টেমেটো ইত্যাদি।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর