May 8, 2024, 8:18 pm

সংবাদ শিরোনাম
রগ কেটে যুবক হত্যা, গ্রেফতার ৪ বিধিমালা উপেক্ষিত পটুয়াখালীতে ইউসিসি’র পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ ভোলায় জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি শাহিন ফকির সরিষাবাড়ীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন রংপুর নগরীরতে ভোক্তা অধিকার ও নিরাপদ খাদ্যের তদারকি পীরগঞ্জে   নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে মুখ খুলছেনা ভোটার উলিপুরে কয়েলের আগুনে একটি গোয়ালঘর পুড়ে আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সুন্দরগঞ্জ আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তার সাফল্য রাঙ্গাবালীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ ১ থেকে ৭ ই মে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পেতে প্রধান মন্ত্রী বরাবরে দরখাস্ত প্রদান

‘জয় বাংলা’ শ্লোগান না থাক‌লে তাদের নিবন্ধন বাতিল হওয়া উচিত – কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি

মোহাম্মদ ইকবাল হাসান সরকারঃ

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৭১ সালের এই দিনে পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ

ও পলায়নের মধ্য দিয়ে ৪৮ বছর আগে হানাদার মুক্ত হয়েছিল টাঙ্গাইল। স্বজন হারানোর ব্যথা ভুলে হাজার হাজার উৎফুল্ল জনতা রাস্তায় নেমে আসে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান তুলে মুক্তির সেই আনন্দে শামিল হয় জনতা।আজ ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখ বুধবার কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি টাঙ্গাইল পৌরসভা মাঠে ৬ দিনব্যাপী টাংগাইল হানাদার মুক্ত দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন; ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পরপরই দেশ শত্রু মুক্ত করতে টাঙ্গাইলে গঠন করা হয় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ।বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনই ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের আহবান,মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বাঙালী জাতিয়তাবাদের কথা অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা। চলতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ। ভারতে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিদিনের প্রশিক্ষণ শেষ হতো জয় বাংলা বলে, সেই গগণ বিধারী আওয়াজ পাকিস্তানিদের বুকে কাপন ধরাতো।কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি  আরও বলেন; জিয়া মুক্তিযুদ্ধ করেছে,সেক্টর কমান্ডারও ছিল কিন্তু সে কোন দিন মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নেয়নি,তার মনে ছিল পাকিস্তানের স্বপ্ন। জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে, রেখে গেছে সাম্প্রদায়িক দেশ । মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছে, স্বাধীনতা বিরোধীদের পুরস্কৃত করেছে।উল্লেখ্য; ১০ ডিসেম্বর রাতেই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইল সদর থানা দখল করে সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ১১ ডিসেম্বর ভোর থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করতে থাকেন এবং সারা শহর নিজেদের দখলে নিয়ে হানাদারদের ধরতে থাকেন। এভাবেই টাঙ্গাইল শহর সম্পূর্ণ হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তির স্বাদ পেয়ে উল্লসিত মানুষ নেমে আসেন রাস্তায়।অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও সদর পৌর সভার প্যানেল মেয়র মোঃ জামিলুর রহমান মিরন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন,তানভির হাসান ছোট মনির,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন জনসংযোগকর্মকর্তা।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১১ ডিসেম্বর ২০১৯/ইকবাল

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর