আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিনিধি:
আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সড়ক-মহাসড়কের চাঁদাবাজরা। পরিবহন সেক্টরে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নামে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। তারপরও কমছে না পরিবহনে চাঁদাবাজি। করোনা মহামারীর মধ্যেও কৌশল পাল্টে চলছে তাদের চাঁদাবাজি কারবার। বাংলাদেশ পুলিশ সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য মতে সারাদেশে চাঁদাবাজদের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হচ্ছে। আর এই অভিযান অব্যহত থাকবে। মাদক নির্মূলের পাশপাশি চাঁদাবাজ দমনে র্যাব-১১ এর পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে গতকাল (৩ আগষ্ট) মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে ১৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার মাহমুদুল হাসান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৫’টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তিনগরস্থ খানকায়ে জামে মসজিদ এলাকায় অভিযানে গ্রেফতারকৃত পরিবহন চাঁদাবাজরা হল: ১. মো. আফজাল হোসেন (৩২), ২. মো. আ. রহমান (৩৮), ৩. মো. আমির হামজা (২৪), ৪. মো. মাসুদ ইসলাম (১৮), ৫. মমিনুল ইসলাম (৪৫), ৬. মো. রায়হান হোসেন (২৮), ৭. মো. হানিফ (৪৩), ৮. মো. ওয়াজেদ মিয়া (৪৮), ৯. মো. জাকির হোসেন (৩৪), ১০. মো. জাকের হোসেন (৩২), ১১. মো. হাবিবুর রহমান (২৬), ১২. মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), ১৩. মো. রনি হোসেন (২৮) এবং ১৪. মো. ওসমান গনি মুন্সি (৫৬)। এ সময় তাদের দখল থেকে চাঁদাবাজির নগদ ১৮ হাজার ১ শত টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রামগামী চলাচলরত পরিবহনের চালক ও হেলপারদের গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক পরিবহন প্রতি দৈনিক ১০০/- টাকা থেকে ২০০/- টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।