May 2, 2024, 3:53 am

সংবাদ শিরোনাম
নাটোরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে দুপুরের খাবার খেতে আসার পথে সড়কে প্রাণ গেল মাদরাসা ছাত্রের পটুয়াখালীতে বজ্রপাতে তিনটি গরুর মৃত্যু কুড়িগ্রামে মহান মে দিবস পালিত কুয়াকাটায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধে ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধন রংপুরে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে সন্মেলন অনুষ্ঠিত র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে রাজশাহীর দামকুড়ায় ৩৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার’ ০১ মাদক কারবারি গ্রেফতার দিনে দুপুরে নিজ ঘর থেকে আড়াই বছর বয়সী শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার রংপুর চিড়িয়াখানায় গরমে পশুর হাঁসফাঁস অবস্থা

মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধের তদন্ত চায় ১৪২টি দেশ

প্রাইভেট ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চেয়েছে জাতিসংঘের ১৪২টি দেশ। একটি

নিরপেক্ষ মেকানিজম প্রতিষ্ঠার দ্রুত তাগিদ দিয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের তৃতীয় কমিটিতে। সম্প্রতি এ বিষয়ে ভোট হয়। ১৪২টি দেশ এই প্রস্তাব সমর্থনকরে, ১০টি দেশ বিরোধিতা এবং ২৬টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে। থার্ড কমিটির রেজ্যুলেশনটি ৯৯টি দেশ কো-স্পন্সর করছে। গত বছরেও থার্ড কমিটিতে রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়। ওই রেজ্যুলেশনটিও ৯৭টি দেশ কো-স্পন্সর করেছিল।রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে, রাখাইনে মুসলিমরা মিয়ানমারের স্বাধীনতার পূর্বেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বসবাস করছে। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন পুনর্বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব প্রদানের আহ্বান জানিয়ে মিয়ানমার সরকারকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপরযারা অত্যাচার করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য।বর্তমান রেজ্যুলেশনে মিয়ানমারে মানবাধিকার লংঘন তদন্তের জন্য দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষ মেকানিজম প্রতিষ্ঠার ওপরেজোর দিয়ে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের মিলিটারির ওপরে যেন বেসামরিক সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।রাখাইনে সামরিক অভিযানের কারণে নিয়মতান্ত্রিকভাবে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লংঘনকরা হচ্ছে এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হয়, এই অভিযান বন্ধের এবং এর জন্য যারা দোষী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য।আরও বলা হয়, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফেরত যেতে পারে এবং রাখাইনে যেন জাতিসংঘসহ অন্যান্য সাহায্য সংস্থা কাজ করতে পারে। রেজ্যুলেশনে জাতিসংঘের মহাসচিবকে ‘মিয়ানমার বিষয়কবিশেষ দূত’ নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রশংসা করে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ যেন মিয়ানমারকে সহায়তার প্রস্তাব করে।এ ছাড়া, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ সব সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সহযোগিতাকে উৎসাহিত করা হয়েছে।রাখাইনে সহিংসতাবন্ধ, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন, নাগরিকত্ব প্রদান, কফি আনান কমিশন রিপোর্টেরপূর্ণ বাস্তবায়ন, রোহিঙ্গাদের নিজগৃহে প্রত্যাবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয় এই রেজ্যুলেশন অন্তর্ভুক্ত করাহয়েছে।এ ছাড়া, রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট সময়েরমধ্যে দ্রুত যাচাই-বাছাই করে ফেরত নেওয়ার জন্য এবং এ বিষয়টিও এই রেজ্যুলেশনে উল্লেখ আছে।রোহিঙ্গা মুসলিমও অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মধ্যে অস্থিতিশীল ও নিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতি যাতে করে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবারও আহ্বান জানানো হয়েছে।এর আগে ২০১৫ সালে অং সান সুচি সরকার গঠনের আগে একই শিরোনামে ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক একটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়। সেখানে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। সেই রেজ্যুলেশনে ১৯টি প্যারার মধ্যে রোহিঙ্গা বিষয়ে শুধুমাত্রএকটি প্যারা ছিল।২০১৭ এর রেজ্যুলেশনগত বছরের রেজ্যুলেশনে ৯৭টি দেশ কোস্পনসর ছিল। এ ছাড়া, অনেক দেশ আছে, যারা কো-স্পনসর হয়নি, তারা এর পক্ষে ভোট দিয়েছে।এই রেজ্যুলেশনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল চীন, রাশিয়াসহ ১০টি দেশ এবং কোনও ভোট দেয়নি ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ ২৬টি দেশ। এর পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১৩৫টি দেশ।উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা রেজ্যুলেশনটির পক্ষে ১০৪টি দেশ ভোট দেয়, ১৩টি দেশ বিপক্ষে এবং বাংলাদেশসহ ৩৭ জন কোনও ভোট দেয়নি।২০১৫ সালের রেজ্যুলেশনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল চীন, রাশিয়া, ইরান, উজবেকিস্থানসহ ১৩টি দেশ এবং কোনও ভোট দেয়নি ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ ৩৭টি দেশ। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে মিয়ানমার সামরিকবাহিনীর জাতিগত নিধন অভিযান শুরু হলে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২০ নভেম্বর ২০১৮/ইকবাল

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর