May 2, 2024, 3:41 am

সংবাদ শিরোনাম
নাটোরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে দুপুরের খাবার খেতে আসার পথে সড়কে প্রাণ গেল মাদরাসা ছাত্রের পটুয়াখালীতে বজ্রপাতে তিনটি গরুর মৃত্যু কুড়িগ্রামে মহান মে দিবস পালিত কুয়াকাটায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধে ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধন রংপুরে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে সন্মেলন অনুষ্ঠিত র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে রাজশাহীর দামকুড়ায় ৩৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার’ ০১ মাদক কারবারি গ্রেফতার দিনে দুপুরে নিজ ঘর থেকে আড়াই বছর বয়সী শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার রংপুর চিড়িয়াখানায় গরমে পশুর হাঁসফাঁস অবস্থা

তফসিলের আগে সংলাপের বাড়তি ঝামেলার কোনো প্রয়োজন নেই: ওবায়দুল কাদের

তফসিলের আগে সংলাপের বাড়তি ঝামেলার কোনো প্রয়োজন নেই: ওবায়দুল কাদের

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তফসিলের আগে সংলাপের বাড়তি ঝামেলা করার কোনো প্রয়োজন নেই। বিএনপিকে সাথে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের গড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে সরকারকে চিঠি দেবে বলে জানিয়েছে। সরকারবিরোধী নতুন এই জোটের উদ্যোগের বিষয়ে গতকাল সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার কথা নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তাহলে সব মিলিয়ে পনেরো দিনের বেশি দাঁড়ায় না। তফসিল ঘোষণার আগে এ সময়ে আলাপ আলোচনা বা সংলাপের দাবি অবাস্তব, অযৌক্তিক এবং অপ্রয়োজনীয়। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, অশান্ত-অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে, সেজন্য সংলাপ দরকার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ যে পরিবেশ দরকার, সেই পরিবেশ সারাদেশে বিরাজমান। কাজেই এই শান্ত পরিবেশ যেখানে দেশে বিরাজমান, সেখানে সংলাপ বাড়তি ঝামেলা। সংলাপের দাবি করে একটা বাড়তি ঝামেলা সৃষ্টি করার কোনো প্রয়োজন নেই। সরকার ও সরকারি দলকে দেওয়া চিঠিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের সাত দফা দাবি তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন ফুন্টের নেতা জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে সাত দফা দাবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। তবে তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে সড়ক দিবসের ওই অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের আবারও বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি মানা সম্ভব নয়। এই আলোচনাটা তারা করবেন তাদের সাত দফা ইস্যুতে। আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি, এটা অবাস্তব অযৌক্তিক দাবি। এর একটা দাবিও মেনে নেওয়ার মত অবস্থা, পরিস্থিতি এখন দেশে বিরাজমান নেই। সংবিধান বহির্ভূত কোনো দাবি মেনে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই মূহূর্তে সংবিধান সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই, কোনো প্রয়োজন নেই। দাবি আদায়ের নামে সহিংসতা করলে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ ঐক্যফ্রন্টকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য, সভা-সমাবেশের নামে, দাবি আদায়ের নামে বিএনপি যদি ২০১৪ সালের মতো সহিংসতা-নাশকতার পথে যেতে চায়, তাহলে কিন্তু দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ করব এবং পুলিশ প্রশাসন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সমুচিত জবাব দেবে। নিজেকে কেউ সফল মন্ত্রী বলে প্রশংসা করলে তিনি মনে মনে সত্যিই কষ্ট পান উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি বেদনার অঙ্কুরে বিদ্ধ হই, মনে মনে একটু কষ্ট পাই, সঙ্গে লজ্জাও। কারণ এখনো সড়কে মৃত্যুর কাফেলা থামছে না, অনিয়মের কাফেলা থামছে না, বিশৃঙ্খলার কাফেলা থামছে না। তিনি বলেন, আমরা যত কিছুই করি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে না পারলে কোনো কাজে আসবে না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যতটা ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা এবং এনফোর্সমেন্টের সমস্যা; তার চেয়ে বেশি সচেতনতা। সচেতনতা বাড়ানোর প্রক্রিয়াটাতে আমরা খুব এগোতে পারিনি। আমাদের রাস্তায় যানজট-জলজট-জনজট এই তিনটি যখন মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়, তখন সেই দৃশ্যপটটা অস্বাভাবিক। কাজেই আমাকে যখন কেউ সফল মন্ত্রী বলেন, আমার প্রশংসা করতে চায় আমি মনে মনে সত্যি বেদনার অঙ্কুরে বিদ্ধ হই, মনে মনে একটু কষ্ট পাই, সঙ্গে লজ্জাও পাই। কারণ আমার চোখের সামনে যখন বিশাল একটা যানজট। যখন দেখি এই শহরে যানজটের মধ্যে আটকে আছে নারী, শিশু মুমূর্ষু রোগী। অনেকের হয়তো রাস্তাতেই জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয়, লম্বা যানজটের কারণে। এসব কবে বন্ধ করতে পারব? সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেখা যায় সামান্য একটা গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে, সেখানে চালকের দোষ নাকি পথচারীর দোষ সেটা পরে দেখা গেলো, কিন্তু হাজার হাজার গাড়ি লম্বা যানজটের সারি। পথে পথে মানুষের কি যে অবর্ণনীয় কষ্ট। সড়কে এখনো মৃত্যুর কাফেলা থামছে না, অনিয়মের কাফেলা থামছে না, এখনো বিশৃঙ্খলার কাফেলা থামছে না। এখনো অনিয়মের কাফেলা চলমান। এখানে আমাদের দগদগে ব্যর্থতা। আমি মন্ত্রী, আমি এর দায় এড়াতে পারি না। পুরোপুরি সাফল্যের কৃতিত্বের দাবিদারও আমি নই। আমাদের এত কিছু করার পরও অনেক দূর পথ পাড়ি দিতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে-মহাসড়কে থ্রি হুইলার এখনও চলছে। আমরা কন্ট্রোল করতে পারিনি। আমরা ২২টি সড়কে এসব বন্ধের ঘোষণা করার পরও কন্ট্রোল করতে পারিনি। মঞ্চে উপস্থিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের প্রতি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি আমরা সচেতন না হলে দেশ সচেতন হবে না। দেশকে বদলাতে হলে, সড়ক পরিবহনের যে বিশৃঙ্খলার ছবি সেটা পরিবর্তন করতে হলে বা বদলাতে হলে আমাদের বদলাতে হবে আগে। আমরা না বদলালে দেশ বদলাবে না। আমরা নিজেরা আইন করি আমরাই আইন ভঙ্গ করি। মোটরসাইকেল সড়কে নতুন আতঙ্ক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সবার প্রচেষ্টায় একটা চিত্র পাল্টে গেছে। আগে যেখানে একজনও হেলমেট পড়ত না এখন সেখানে মোটরসাইকেলের দু’জনই হেলমেট পড়ছে। আমার মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রত্যেককে একটা করে গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই। সড়ক দুর্ঘটনার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, দুর্ঘটনার জন্য বাস-ট্রাকের চালক যতটা না দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী মোটারসাইকেল। এই মোটরসাইকেলের কারণেই দুর্ঘটনা বাড়ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইকরামুল হাসান, নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর