হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ রেজাউল করিম সিরাজী,নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
জাতিগত সংঘাত ও মানুষে মানুষে লড়াই বন্ধ করে শান্তির পৃথিবী গড়তে সাহিত্যচর্চাকে অনন্য হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।গতকাল ৩১ডিসেম্বর২০১৯ইংতারিখমঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেশের ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য সংগঠন ‘বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব’ আয়োজিত ‘৩১ শে ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক লেখক দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে আমরা ক্রমাগত যন্ত্রে রূপা ন্তরিত হচ্ছি, আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছি।এই প্রেক্ষাপটে মানুষের মানবিকতা সংর ক্ষণের জন্য সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চাবৃদ্ধি প্রয়োজন।তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত শতকে মানুষ চাঁদে পৌঁছেছে , এই শতকে মঙ্গলগ্রহে পৌঁছাবার চেষ্টায় রত।এই পৃথিবীতে ক্ষুধা-দারিদ্র থাকার কথা নয়।কিন্তু এখনও বিশ্বে প্রতি ১০ জনে ৫ জন খাবার নষ্ট করে। আর চারজন ভরপেট খাবার পায় না।এ অশান্তি দূর করতে লেখক দিবসের স্লোগান ‘শান্তির পৃথিবী চাই’ অত্যন্ত সময়োপযোগী।সেইসাথে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই’ স্লোগানটি এই দিবসে যুক্ত করায় রাইটার্স ক্লাবকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তার কন্যা জন নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।আমরা ইতোমধ্যেই ক্ষুধাকে জয় করেছি, দারিদ্রকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে চলছি।জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কে শুধু অর্থনৈতিকভাবে উন্নত রাষ্ট্রই নয়, জাতিগত ভাবেও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চান। আর সেই ক্ষেত্রে কবি-লেখক- সংস্কৃ তি কর্মীদের ভূমিকা অনন্য।বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের সভাপতি ওজাতিসত্তার কবি হিসেবে খ্যাত কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কবি ও লেখকদের মধ্যে সাবেক এমপি কাজী রোজী, স ম শামসুল আলম, ঝর্ণা রহমান, নাহিদা আশরাফী, রাইটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ দুলাল, সোহাগ সিদ্দিকী, রিশাদ হুদা, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, নাহার ফরিদ খান, নাসিমা রহমান শিউলি, নূরিতা নূসরাত, নাসরিন ইসলাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/০১জানুয়ারি ২০২০/ইকবাল