May 2, 2024, 3:54 am

সংবাদ শিরোনাম
নাটোরে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে দুপুরের খাবার খেতে আসার পথে সড়কে প্রাণ গেল মাদরাসা ছাত্রের পটুয়াখালীতে বজ্রপাতে তিনটি গরুর মৃত্যু কুড়িগ্রামে মহান মে দিবস পালিত কুয়াকাটায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধে ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধন রংপুরে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে সন্মেলন অনুষ্ঠিত র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে রাজশাহীর দামকুড়ায় ৩৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার’ ০১ মাদক কারবারি গ্রেফতার দিনে দুপুরে নিজ ঘর থেকে আড়াই বছর বয়সী শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার রংপুর চিড়িয়াখানায় গরমে পশুর হাঁসফাঁস অবস্থা

গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে বাংলাদেশকে ২শ’ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি

গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে বাংলাদেশকে ২শ’ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ২শত মিলিয়ন ডলার সহযোগিতার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। দেশের ৫১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষ এই সহযোগিতায় সরাসরি উপকৃত হবেন। আগামী ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি সমাপ্ত হবে। এর মোট ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ২৮৫ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে এডিবি ছাড় ঋণ দিবে ১শত মিলিয়ন ডলার ও নিয়মিত ঋণ দিবে ১শত মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ সরকার বাকি ৮৫ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করবে। গতকাল বুধবার এডিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। এডিবি’র ঊর্ধ্বতন গ্রামীণ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ লি মিং তাই বলেন, উৎসাহজনক কৃষি সেক্টরের জন্য গ্রামীণ সড়কগুলোতে বর্তমানে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে, ২০১৫ সালের হিসাবমতে দেশের মোট উৎপাদনের মধ্যে গ্রামীন কৃষি মোট ১৫ শতাংশ দেশীয় পণ্য উৎপাদন করেছিলো, সরাসরি বা পরোক্ষভাবে দেশের প্রায় অর্ধেক শ্রমজীবি গ্রামীণ কৃষিতে কর্মরত রয়েছে। লি মি তাই বলেন, এডিবি’র বর্তমান গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি সরকারের বিদ্যমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে, যা নাকি গ্রামীণ আয় বর্ধনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথকে সুফল করবে। এডিবি প্রকল্পটি দেশের ৩৪টি জেলার ১ হাজার ৭শত কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক সারা বছরের সব রকম আবহাওয়ার উপযোগী করে উন্নয়ন করবে। জনসংখ্যার অনুপাতিক হার, কৃষির কাজের সম্ভাবনাময়তা, কুষি খামার ও বাণিজ্যিক স্থাপনা এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিক বিবেচনা করে সড়কগুলো উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত করা হবে। বিগত ২০১৭ সালের বন্যার সময় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়কগুলো উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার তালিকায় স্থান পাবে। সড়কগুলোর জন্য সব রকম জলবায়ুতে টেকসই হয়, এমন নির্মাণ পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সড়কগুলো নির্মাণের পর ৫ বছর পর্যন্ত রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য চুক্তি করা হবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ৪০ ভাগ লোক সারা বছরের আবহাওয়া উপযোগী গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করতে সক্ষম হয়। এটি সারাদেশের মোট সড়কের মধ্যে ২৮ শতাংশ। সরকার সপ্তম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গ্রামীণ সড়কের উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা করেছে। এর ফলে সারাদেশে বিদ্যমান গ্রামীণ সড়ক ৪৩ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশে বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে। প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের সড়ক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সড়ক নিরাপত্তা, জলবায়ু মোকাবেলার নকশা ও নির্মাণ, সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও রক্ষাণাবেক্ষণের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এই সব কাজে এডিবি ১ মিলিয়ন ডলার কারিগরি সহযোগিতা হিসেবে প্রদান করবে। এই প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে প্রায় ২ হাজার ৪ শত নারীর সাথে পরামর্শ করা হয়েছে যারা এই প্রকল্প থেকে অর্থনৈতিক ও সেবাধর্মী সুবিধাভোগ করবেন।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর