রাকিব হোসেন,ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার লালমোহনের পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পাঙ্গাশিয়া কেরামতিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও তার আস পাশের এলাকায় থেকে গত ৫ দিনে প্রায় আড়াইশ সাপের বাচ্চা মেরেছে স্থানীয়রা। প্রতিদিন ক্লিনিকের ভিতর থেকে দলে দলে বিষধর সাপের বাচ্চা বের হওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম। এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকা সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক সাপ্তাহ ধরে ওই ক্লিনিকটির ভিতরে ও আসপাশে সাপের আনাগুনা দেখাতে পায় স্থানীয়রা। হঠাৎ গত রবিবার ক্লিনিকটির ভিতরে সিএইচসিপি মো. মাহাবুবুর রহমান খুলে দেখেন দলে দলে বিষধর সাপের বাচ্চারা ছুটা ছুটি করছে। সে সময় সিমা নামের এক রোগীকেও সাপে দংশন করে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা উৎসুক জনতা লাঠি নিয়ে এসে একে একে দেড় শত সাপ মেরে ফেলেন। পরে ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য সেবা নিতে আসা রোগীদের অন্যস্থানে সেবা প্রদান করতে বলেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। সোমবার দুপুর থেকে বুধবার পর্যন্ত আরো ১শ সাপের বাচ্চা মারা হয় ওই ক্লিনিক ও তার আস পাশের এলাকা থেকে। বড় সাপ গুলো না মারতে পারায় আতঙ্ক বিরাজ করছে ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপি, সেবা নিতে আসা রোগী ও এলাকাবাসীর মাঝে। সেবা নিতে আসা রোগী মো.আবু তাহের, মো. বেলাল হোসেন, পারভীন আক্তার জানান, আমরা সাপের ভয়ে ক্লিনিকে সেবা নিতে যেতে পারছি না। সেখানে প্রতিদিন ক্লিনিক ও তার আস পাশে বিষধর সাপ দেখা যায়। ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, প্রতিদিন এখানে সাপ দেখা যায়। সে জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে ক্লিনিকের ভিতরে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, ওই ক্লিনিকের সিএইচসিপি বিষয়টি আমাকে জানানোর পরে আমি বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে জানালে তিনি বলেছেন পার্শ্ববর্তী কাচারিতে রোগীদের সেবা দিতে বলেন। অন্যদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী ওই ক্লিনিকের ভিতরে কার্বোনিক এসিড দেওয়া হয়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৬এপ্রিল২০১৮/ইকবাল