ভোলা ভোলা প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের ট্রাক্টর ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার খাসমহল বাজারে ৬ মাস পর্যন্ত পড়ে রয়েছে। টাক্টর সুমন নিখোঁজ রয়েছে। এ গাড়িটি তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর এলাকার জাকির হোসেন এনে মির্জাকালু খাসমহল বাজার তার চাচাতো ভাই বাবুল এর মনিহরি দোকানের সামনে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এখবর পেয়ে গাড়ীর মালিক টিটু মোল্লা এসে মির্জাকালু খাসমহল তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশ কে অবহিত করেন। পুলিশ গিয়ে গাড়ীটি স্থানীয় মো: নাঈম হাওলাদারের জিম্মায় রাখেন। সূত্রমতে জানাগেছে, ২৭-১১-১৭ ইং তারিখে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিআনি থানা থেকে জমি চাষাবাদের ট্রাক্টর সহ ড্রাইবার আসাদুল (সুমন) উদ্ধাও হয়ে যায়। না পেয়ে গাড়ীর মালিক ২৯-১১-১৭ ইং তারিখে কাশিআনি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং- ১২০৪। প্রায় ৬ মাস পূর্বে তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ৩নং ওয়ার্ডের হানিফ ব্যাপারী ছেলে জাকির হোসেন এ গাড়ীটি বোরহানউদ্দিন মির্জাকালু খাসমহল বাজারে জাকিরের চাচাতো ভাই বাবুলের মনিহরি দোকানের সামনে এসে রাখেন। গাড়ীটি ওখানে রাখা অবস্থায় গাড়ীর রুটার দাম প্রায় ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ও ব্যাটারী দাম প্রায় ১৬ হাজার টাকা চুরি হয়ে যায়। এদিকে সচেতন মহল মনে করেন জাকির যদি ড্রাইবারের সাথে যোগাযোগ করে চাষাবাদের জন্য ট্রাক্টরটি এনে থাকেন তাহলে ড্রাইবার সুমনের নাম্বার তার কাছে নেই কেন? আর চাষাবাদের জন্য গোপালগঞ্জ থেকে ট্রাক্টর আনতে হবে কেন? এ ট্রাক্টর আনার পেছনে অন্য কোন কারণ থাকতে পারে। এছাড়া ড্রাইবার সুমন নিখোঁজ থাকায় ঘটনাটি কেমন যেনো সন্দিহান হচ্ছে। গাড়ীর মালামাল চুরি কারা করেছে? এ ঘটনার আসল ক্লু-কি বের করতে হবে? কে অপরাধী? পুলিশকে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধও করছে সচেতন মহল। এ সংবাদ পেয়ে গত সোমবার ট্রাক্টর মালিক ঘটনাস্থলে এসে গাড়ীটি দেখে মির্জাকালু খাসমহল পুলিশ ফাড়িতে অবহিত করেন। পুলিশ এসে স্থানীয় নাঈম হাওলাদারের জিম্মায় রাখেন। এব্যাপারে ট্রাক্টরের মালিক টিটু মোল্লা ঘটনার সত্বত্য স্বীকার করেন বলেন, ট্রাক্টর সহ ড্রাইবার প্রায় ৬ মাস পূর্বে উদ্ধাও হয়ে যায়। ড্রাইবার এবং গাড়ীর সন্ধান না পেয়ে থানা একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর বোরহানউদ্দিন ট্রাক্টর এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ কে বিষয়টি অবহিত করি। শুনেছি তজুমদ্দিন উপজেলার জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তি গাড়ীটি এনেছে। তিনি গাড়ী হতে চুরি হওয়া মাল উদ্ধার এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি মূলক ব্যবস্থার জন্য পুলিশের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এব্যাপারে মো: জাকির হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি প্রতি বছর চাষাবাদের জন্য ট্রাক্টর বিভিন্ন স্থান থেকে চরে আনি। সুমন নামের এক ড্রাইবার ট্রাক্টরটি এনে আমার কাছে রেখে যায়। সে বাড়ী থেকে ট্রাক্টরের কাগজপত্র আনার কথা বলে অদ্যবধি আসে নি। ড্রাইবারের ফোন নাম্বার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি নাই বলে জানান। এব্যাপারে মির্জাকালু খাসমহল তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই মো: ফোরকান হাওলাদার জানান, ট্রাক্টরটি উদ্ধার করে স্থানীয় নাঈম হাওলাদারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।