কাপাসিয়ায় অন্তসত্বা গৃহবধূ’র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার অন্তসত্বা গৃহবধূ শামীমা আক্তার স্বপ্না (২২) সইতে না পেরে গতকাল বুধবার সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাজিদ (৫) নামে এক পুত্র সন্তানের জননী গৃহবধূ ৯ মাসের গর্ভবতী ছিল। ঘটনার পর স্বামী অটোরিক্সা চালক আলমগীর (৩০) পালিয়ে গেছে।
জানাযায়, আলমগীর তার স্ত্রী শামামীকে নিয়ে কাপাসিয়া শহরের বরুন রোডের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিল। সকালে একমাত্র ছেলে সাজিদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে তার মা ছেলেকে বকাঝকা করে। এ ঘটনায় স্বামী আলমগীর স্ত্রী শামীমাকে মারধর করে এবং পরে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে চলে যায়। এ সুযোগে শামীমা ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। পাশের ঘরে থাকা শামীমার ফুপাতো বোন বৃষ্টি টের পেয়ে অনেক ডাকাডাকি করার পরও ঘরের দরজা না খুললে স্বামী আলমগীরকে সে খবর পাঠায়। দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। সে টুলে দাঁড়িয়ে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে সিলিং ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। শামীমা কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের খোদাদিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার কন্যা। প্রায় ৮বছর আগে পার্শ্ববর্তী শ্রীপুরের লোহাগাছ গ্রামের সিরাজুলের পুত্র আলমগীরের সাথে বিয়ে হয়। পিতা চাঁন মিয়া জানান, স্বামীর মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার কন্যা শামীমা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।