জাতিংঘের কিউবায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আহ্বান
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কিউবায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।
বৃহস্পতিবার পরিষদে এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব ১৮৯-২ ভোটে গৃহীত হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সাধারণ পরিষদের গৃহীত বার্ষিক এ ২৭তম প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিরোধিতা করেছে কেবল ইসরায়েল। ১৮৯ দেশ ছিল পক্ষে। ভোট দেয়নি ইউক্রেইন ও মলদোভা।
জাতিসংঘ আহ্বানের রাজনৈতিক গুরুত্ব থাকলেও মার্কিন কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত ছাড়া ৫০ বছরের পুরনো এ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠবে না।
প্রস্তাবে কিউবার মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়টি ঢোকানোর চেষ্টা করেও যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।
“এটি করে আপনারা যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত দেননি, সত্যিকার অর্থে আপনারা আঘাত করেছেন কিউবার জনগণকে। দেশটির শাসকদের আপনারা বুঝিয়েছেন, সেখানকার জনগণের সঙ্গে তারা যে আচরণ করে, তা অনুমোদিত,” বলেন জাতিসংঘে মার্কিন দূত।
জাতিসংঘে এ ধরনের প্রস্তাবে গত ২৪ বছর ধরেই টানা বিরোধিতা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র; ব্যতিক্রম ছিল কেবল ২০১৬ সালে।
সেসময় বারাক ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে হাভানার সম্পর্কের উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। ট্রাম্প এসে অবশ্য ওই চিত্র বদলে ফেলেছেন।
গত বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কিউবাকে স্নায়ুযুদ্ধকালীন আচরণ ফিরিয়ে দেন; বাণিজ্য ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কঠোর করেন।
ইসরায়েল গত বছরও এ প্রস্তাবের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে ছিল।
এ বছর ওয়াশিংটন খসড়া প্রস্তাবটিতে আটটি সংশোধনী আনার চেষ্টা করলেও ১১৩টি দেশ এর বিরোধিতা করে। সংশোধনীগুলোতে সমর্থন ছিল কেবল ইসরায়েল ও ইউক্রেইনের। ভোটদানে বিরত ছিল ৬৫টি দেশ।
বৃহস্পতিবার খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ভোটের আগে কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্রুনো রড্রিগেজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, কিউবা ও অন্যান্য দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ‘নৈতিক কর্তৃত্বের’ ঘাটতি আছে।
“জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন এ নিষেধাজ্ঞা। এটা এক ধরনের আগ্রাসন ও অর্থনৈতিক যুদ্ধ, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে,” বলেন ব্রুনো।