যশোরে এনজিও কর্মকর্তা খুন: তৃতীয় স্ত্রীসহ তিন জন পুলিশ হেফাজতে
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
যশোর নতুন উপশহরের এনজিও কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভিকু হত্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে দু’জন তার এনজিও’র কর্মী এবং অপর জন তার তৃতীয় স্ত্রী আমেনা। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি।
পুলিশের দাবি, নিহত ভিকুর এনজিও এবং ব্যক্তিগত জীবন দুটোকেই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। দ্রুতই হত্যাকারীদের শনাক্ত ও আটক করা সম্ভব হবে।
যশোর উপশহর এলাকার সি-ব্লকের বাসিন্দা প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক গোলাম কুদ্দুস ভিকু গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া বোমা ও গুলিতে নিহত হন।
নিহতের চতুর্থ স্ত্রী শারমিন আক্তার লাকি এবং বেয়াই বিপ্লব সুলতান দাবি করেন, এনজিও’র এরিয়া ম্যানেজার বাহার আলী ঋণের নামে প্রতিষ্ঠানের ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে বিচার-সালিশ হওয়ার কথা চলছিল।
তারা জানান, ভিকুর তৃতীয় স্ত্রী আমেনার সঙ্গে তালাকের বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। এ অবস্থায় আমেনা প্রায়ই ভিকুকে হত্যার হুমকি দিত। বাহার ও আমেনার মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। তারা এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে তারা দাবি করেন।
এদিকে, যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা জানান, ভিকুর এনজিও ও ব্যক্তিগত জীবন দুটোকেই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। দ্রুতই হত্যাকারীদের শনাক্ত ও আটক করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভিকুর এনজিও’র হিসাবরক্ষক মাসুদুর রহমান, গাড়িচালক আবু তাহের এবং নিহতের তৃতীয় স্ত্রী আমেনাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।