প্যারাডাইস পেপারসে ১০ বাংলাদেশির নাম
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্যারাডাইস পেপারস হচ্ছে বিশ্বের ১৮০টি দেশের রাজনীতিক, সেলিব্রিটি ও বিত্তশালী মানুষের অর্থনৈতিক লেনদেন ও মালিকানা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের এক বিশাল ডাটাবেজ। এই ব্যক্তিরা কর ফাঁকি দিতে বিভিন্ন ট্যাক্স হেভেনে (কর দিতে হয় না বা সামান্য হারে কর দেওয়া যায় এমন দেশ) বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে এবার ১০ বাংলাদেশির নাম এসেছে। এদের মধ্যে বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন। তালিকায় রয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানের নামও। প্রতিষ্ঠানটি হলো ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড। তাদের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১২১২। এতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ক্রমানুযায়ী উল্লেখ করা রয়েছেÑ আউয়াল-নাসরিন ফাতেমা, আউয়াল-তাবিথ মো., আউয়াল-তাফসির মোহাম্মদ, চৌধুরী-ফয়সাল, মিন্টু-আবুদল আউয়াল, মোগল-ফরিদা ওয়াই, উল্লাহ-শহিদ, তাজওয়ার মো. আউয়ালের অভিভাবক হিসেবে আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমাদ-সামির, আউয়াল-তাজওয়ার মোহাম্মদ। আইসিআইজে-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ তালিকায় আউয়াল-নাসরিন ফাতেমার বিবরণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম দেখানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখানো হয়েছে এনএফএম এনার্জি লিমিটেডের নাম। ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মাল্টিমোড লিমিটেড, অ্যাঙ্কর টাওয়ার, ১০৮ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ। আউয়াল-তাবিথ মো.-এর বিবরণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম দেখানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখানো হয়েছে এনএফএম এনার্জি লিমিটেড-এর নাম। ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মাল্টিমোড লিমিটেড, অ্যাঙ্কর টাওয়ার, ১০৮ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ। আউয়াল-তাফসির মোহাম্মদ-এর বিবরণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম দেখানো হয়েছে। এখানে দু’টি ঠিকানা দেখানো হয়েছে। এর একটি হচ্ছে মাল্টিমোড লিমিটেড, অ্যাঙ্কর টাওয়ার, ১০৮ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ। অন্য ঠিকানাটি হচ্ছে ৭১ গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা, বাংলাদেশ। চৌধুরী-ফয়সালের বিবরণে বাংলাদেশের নাম দেখানো হয়েছে। এখানে দু’টি ঠিকানা দেখানো হয়েছে। এর একটি হচ্ছে সি/ও মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড, বড়নগর, মেঘনাঘাট, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ ১৪৪১, বাংলাদেশ। অন্য ঠিকানাটি হচ্ছে রোড ২৩, হাউস ২৩, ব্লক বি, বনানী, ঢাকা, বাংলাদেশ। মিন্টু-আবুদল আউয়াল-এর বিবরণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম দেখানো হয়েছে। এখানে দু’টি ঠিকানা দেখানো হয়েছে। এর একটি হচ্ছে মাল্টিমোড লিমিটেড, অ্যাঙ্কর টাওয়ার, ১০৮ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ। অন্য ঠিকানাটি হচ্ছে ৭১ গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা, বাংলাদেশ। মোগল-ফরিদা ওয়াই-এর বিবরণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম দেখানো হয়েছে। ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে ৮০-৭২ তাইরন পিআই, জ্যামাইকা নিউ ইয়র্ক ১১৪৩২, যুক্তরাষ্ট্র। আর উল্লাহ-শহিদের বিবরণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম দেখানো হয়েছে। ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে ২৩৫ স্যাডল রিজ প্লেস, দ্য উডল্যান্ডস, টেক্সাস ৭৭৩৮০,যুক্তরাষ্ট্র। তাজওয়ার মো. আউয়ালের অভিভাবক হিসেবে আবদুল আউয়াল মিন্টু-এর বিবরণে বাংলাদেশের নাম দেখানো হয়েছে। ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে মাল্টিমোড ট্রান্সপোর্ট কনসালটেন্টস লিমিটেড, অ্যাঙ্কর টাওয়ার, ১১ তলা, ১/১ (বি) সোনারওগাঁও রোড, ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ। আহমাদ-সামির-এর বিবরণে বাংলাদেশের নাম দেখানো হয়েছে। ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে অ্যাপার্টমেন্ট ৪বি, ১৫ ইউনাইটেড নেশনস রোড, বারিধারা, ঢাকা ১২১২, বাংলাদেশ। আউয়াল-তাজওয়ার মোহাম্মদ-এর বিবরণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম দেখানো হয়েছে। এখানে দু’টি ঠিকানা দেখানো হয়েছে। এর একটি হচ্ছে মাল্টিমোড লিমিটেড, অ্যাঙ্কর টাওয়ার, ১০৮ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ। অন্য ঠিকানাটি হচ্ছে ৭১ গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা, বাংলাদেশ। সম্প্রতি তাদের কর ফাঁকি দেওয়া বিষয়ের এক কোটি ৩৪ লাখ গোপন নথি ফাঁস হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ নথিই প্রকাশ হয়েছে বারমুডার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাপালবি থেকে। এসব নথি তদন্ত করে দেখছেন বিশ্বের ৬৭টি দেশের ৩৮১ জন সাংবাদিক। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট (আইসিআইজে) নামক সাংবাদিকদের একটি সংগঠন এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে।