বড়াইগ্রামে হাসপাতালের জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একটি বে-সরকারি হাসপাতালের জায়গা জবর দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৬ই নভেম্বর) সন্ধ্যায় বনপাড়ায় আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলন করেছেন জায়গাটির মালিক জয়িতা পদকপ্রাপ্ত মোছা.জাহেদা বেগম।
এসময় জাহেদা বেগম অভিযোগ করেন, বনপাড়া বাজারে তাঁর নামে ‘বেসরকারী জাহেদা হাসপাতাল’ রয়েছে। হাসপাতালের অবকাঠামো বৃদ্ধির জন্য চলতি বছরের শুরুর দিকে বনপাড়া মৌজার ৮০৯ দাগের ২.৪৭ শতক জায়গা আতাউর রহমান মৃধার কাছ থেকে ক্রয় করেন। কিন্তু বনপাড়া সরদারপাড়া মহল্লার শরিফুল ইসলাম মিঠু, শফিকুল ইসলাম, আরিফ ও আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন লোক পরবর্তীতে একই জমির ১.২৫ শতাংশ আতাউর রহমানের অপর ভাই হাবিবুর রহমান মৃধার কাছ থেকে ক্রয় করেন। কিন্তু নিয়ম বহির্ভূতভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাটোরের অনুকূলে রেজিষ্ট্রি করে দেন হাবিবুর রহমান মৃধা। এরপর জায়গাটি তারা জবরদখল শুরু করেন। এ ঘটনায় নাটোর আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত ওই জায়গাটিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। কিন্তু শরিফুল ইসলাম মিঠুসহ অন্যান্যরা আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাস্তা করার নামে জায়গাটিতে মাটি ফেলে জবরদখলেরর চেষ্টা করছেন। কোন উপায় না দেখে বনপাড়া পৌরসভাসহ স্থানীয়ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন জাহেদা বেগম। এদিকে শুক্রবার (১৭ই নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে মাটি ভরাট করে হাসপাতালের জমিতে রাস্তা নির্মাণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
হাসপাতালটির স্বত্ত্বাধিকারী জাহেদা বেগম আরো জানান, স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার্থে হাসপাতালের জমি ছেড়ে দিয়ে দক্ষিণপাশে একটি রাস্তা রাখা হয়েছে। সেখান দিয়ে চলাচল করছে সকলেই। কিন্তু প্রভাবশালীরা ওই রাস্তা থাকার পরও হাসপাতালের উত্তরপাশের জায়গা অবৈধ দখলে নিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শরিফুল ইসলাম মিঠু জানান, জায়গাটি কিনে ডিসি স্যারের নামে রেজিষ্ট্রি করে দিয়ে জনস্বার্থে রাস্তাটি করা হচ্ছে। তবে হাসপাতালের দক্ষিণপাশে রাস্তা থাকা স্বত্ত্বেও উত্তরপাশে জমি দখল করে কেন রাস্তা করতে হবে এবং ডিসির নামে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার কোন বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।