এএসএম জুলফিকুর রহমান সরিষাবাড়ী (প্রতিনিধি) সংবাদদদতাঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ হত্যা মামলা আসামীরা জামিনে এসে নিজ বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে
পুলিশ গিয়ে উল্টো নিহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদের লোকজন আটক করলে
এলাকাবাসীর তোঁেপর মুখে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়েঁ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে
দ্রুত ওই স্থান থেকে চলে আসে। এ সময় ৬জন গুলি বৃদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে পুলিশের বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী মিছিল বের করে ও ভূয়াঁপুর-তারাকান্দি সড়ক অবরোধ করে রাখে। স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মে বিকালে বালু উত্তোলন বাধা দেওয়া জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (২৭) কে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। সে ঘটনায় নিহতের বাবা নুরুল ইসলাম আকন্দ বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞান ১৫/২০ আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত দায়িত্ব পড়ে এসআই আবু সাঈদের নিকট। মামলা ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও কোন চার্জসিট দেয়নি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ৪ থেকে ২০ নং আসামীরা জামিনে আসে। জামিনে এসেই তারা নিজেদের বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করেন এবং সেই দোষ নিহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদের পরিবারের উপর চাপাত চেষ্টা করেন। ঘটনা টের পেয়ে এলাকাবাসী ফুঁেস উঠে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাধে। সংর্ঘষে গুরুত্বর অবস্থায় ইউসুফ আলীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মোস্তফাকে টাঙ্গাইল জেনারেল পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু হঠাৎ পুলিশ নিহত জাহিদুল ইসলামের চাচা নাসির উদ্দিন আকন্দকে গ্রেফতার করে আনতে চাইলে এলাকাবাসী তার প্রতিবাদ করতে থাকে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারসেল ছুঁড়ে। গুলিতে নিহত জাহিদুলের বাবা নুরুল ইসলাম আকন্দ, জনি, ইব্রাহিম ও আক্তারসহ ৬ জন গুলি বৃদ্ধ হয়। কৌশলে পুলিশ চলে এলে মামলা তদন্তকারী এসআই আবু সাঈদের বিচারের দাবী ও পুলিশ কেন গুলি ছুঁড়লো তার দাবী এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এলাকাবাসীর দাবী মামলা সুষ্ট তদন্ত না করে এসআই আবু সাঈদ মোটা অংকের টাকা নিয়ে আসামীদের উস্কিয়ে দিয়েছে। উল্টো নিহত জাহিদুলের পরিবারের লোকজনকে আটক করতে চেষ্টা করছে। এ সময় এলাকাবাসী প্রায় ঘন্টাব্যাপী ভূয়াঁপুর-তারাকান্দি সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ ব্যাপারে এসআই আবু সাঈদ জানান, মামলাটি ডিবি নিকট রয়েছে। আমি এর দায়িত্বে ছিলাম না। এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ মাজেদুর রহমান জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে। ৩/৪ রাউন্ড গুলি চলেছে বলেও তিনি জানান।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৮ ডিসেম্বর ২০১৮/ইকবাল