আগুন রায়, মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ঃ

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নে আটটি দোকান ভাঙচুর ও

লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।গত ২৫/১২/১৮ তারিখ মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে শ্যামকুড় ইউনিয়নের লাইড়ি গ্রামের বিভিন্ন মোড়ে মুখোশধারী ১৫-২০ জন যুবক হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।হামলাকারীরা হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে দোকানের টেলিভিশন কম্পিউটার অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে। এসময় হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন চার জন। আহতদের মধ্যে জসিম নামে এক চা দোকানিকে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বুধবার সকালে বিজিবির সদস্যরা এলাকায় টহল দিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা হলেন, লাউড়ি মোড়ের মুদি দোকানদার হাফেজ হাবিবুর রহমান, একই গ্রামের তেঁতুলতলা মোড়ের চা দোকানদার মফিদুল ইসলাম মাজু, কদমতলা মোড়ের সারের দোকানদার ফজলু মেম্বর, আসাদুল করিম, ভাবির মোড়ের কম্পিউটার দোকানদার ফিরোজ, চা দোকানদার কামরুল, নাজমুল এবং জসিম। তবে হামলার প্রকৃত কারণ জানাতে পারেনি দোকান মালিকরা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত নয়টার দিকে ৭-৮টি মোটরসাইকেল চড়ে ১৫-২০ জন দুর্বৃত্ত মুখবাঁধা অবস্থায় এসে হকিস্টিক দিয়ে অতর্কিত দোকানগুলোতে হামলা চালায়। তারা দোকানগুলোতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলায় চা দোকানি জসিমসহ বসে থাকা বিল্লাল, শফিকুল, সাখাওয়াত মারপিটের শিকার হয়। এসময় দোকানগুলোতে থাকা লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়।

মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান দাবি করেন, হামলার শিকার দোকান মালিকরা বিএনপির কর্মী-সমর্থক। ওই দোকানগুলোতে বিএনপিপন্থী লোকজন ওঠাবসা করেন, টেলিভিশন দেখেন।এই ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত এবং ভীত হয়ে পড়েছেন বলে জানান মশিউর রহমান।এদিকে শ্যামকুড় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজামান মনি অভিযোগ করেন, বিএনপি -জামায়াতের লোকজন হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি জসিম স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়মী লীগের নেতা আব্দুর রশিদের ছেলে।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৭ ডিসেম্বর ২০১৮/ইকবাল