জালাল উদ্দিন পেকুয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের মহাজোট প্রার্থী আলহাজ্ব জাফর আলম বলেছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করুণ। পেকুয়া উপজেলাকে উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিতে পৌরসভা করা হবে। এ সরকারের আমলে জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয় সরকারীকরণ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জিয়া কলেজ ও বারবাকিয়া হোসনে আরা উচ্চ বিদ্যালয়কে দ্রুত সরকারীকরণ করে শিক্ষায় এগিয়ে নেয়া হবে পেকুয়াকে। আপনার জানেন, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ চকরিয়া-পেকুয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হলেও কাংখিত উন্নয়ন করতে পারেনি। রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কথা বলে কোটি কোটি টাকা লুঠপাট করেছে। লুঠপাটের ১০বছর শাষন করে ২০বছর সাঁজা ভোগ করছেন সালাউদ্দিন আহমদ। অথচ বর্তমান সরকার পেকুয়ার প্রতিটি গ্রামে গ্রামীন অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আগামীতে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে প্রতিটি ইউনিয়নের প্রধান সড়তগুলো আরসিসি করা হবে। যাতে আপনাদের প্রধান আয়ের উৎস লবণ পরিবহন করতে পারেন। যদি এলাকার তথা দেশের উন্নয়ন চান তাহলে গরীব-দু:খি মেহনতি মানুষের মার্কা নৌকায় ভোট দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকায় ভোট দিতে হবে।
বুধবার (২৬ডিসেম্বর) বিকালে পেকুয়া উপজেলাস্থ পেকুয়া বাজারের ওয়াপদা মাঠে উপজেলা যুবলীগের নেতৃত্বে নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার-১ আসনের মহাজোট মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব জাফর আলম এসব কথা বলেন। পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জিয়াবুল হক জিকুর সভাপতিত্বে এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো.বারেকের সঞ্চালনায় পরিচালিত সভায় জাফর আলম আরো বলেন, বিগত সময় বিএনপি থেকে আপনার যাদের নির্বাচিত করেছেন তারা ভোট আদায় করার পর শহরে গিয়ে আরাম আয়েশে কাটিয়েছে। আমি হলাম আপনাদের গোলাম। এ গোলামের কাজ হবে চকরিয়া-পেকুয়াবাসীর সেবা করা।আমি এমপি নির্বাচিত হলে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১’শ শয্যায় উন্নিত করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকুলবাসীকে রক্ষার জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। পেকুয়াকে একটি আধুনিক উপজেলায় পরিণত করবো। হাসিনা আহমেদের উদ্দেশ্যে জাফর আলম বলেন, চকরিয়া-পেকুয়াবাসীর দূর্যোগ ও সমস্যার সময় আপনি কোথায় গিয়েছিলেন। সাধারণ জনগণ যখন অভাবের কারণে কষ্ট পাচ্ছে তখন আপনি কোথায় গিয়েছিলেন। আর যখন ভোট আসছে তখন স্বামী ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চলনাময়ী কথা বলে ভোট আদায়ের জন্য নেমেছেন। সাধারণ জনগণ আপনার চলনা বুঝঁতে পারছে বলেই নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ওই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এড.কামাল হোসেন, জেলা আ’লীগের সদস্য মো.হোসাইন, জেলা আ’লীগের সদস্য গিয়াস উদ্দিন, জেলা আ’লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আবছার, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, প্রবীণ আ’লীগ নেতা রাজাখালী আ’লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম, উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম, রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান, সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আজম খান, সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, আ’লীগ নেতা বশির আলম, আবু তালেব, প্রবাসী মেহের আলী, মোস্তাক আহমদ, আ’লীগ নেতা জাকিরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর, যুবলীগ সহসভাপতি আব্বাছ উদ্দিন, মো: হোছন, যুগ্ন-সম্পাদক আকতার হোসেন, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান, শাহেদ ইকবাল, সাংবাদিক মো: হাশেম, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম,ক্রীড়া সম্পাদক তারেকুল ইসলাম, শেখ ফরিদ, এড.ওসমাণ, মীর নাসির, হোছন মো: বাদশা, মো: করিম, রিয়াজ খান রাজু, মহিউদ্দিন, রাইসুল হাসান, শাহাজাহান, ফেরদৌস, ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া, আমিনুর রশিদ, শাহাজাহান মিয়া, মনছুর আলম নানক, মাঈন, সালাউদ্দিন, মনছুর, কাশেম, মীর্জা বাহাদুর, জয়নাল, এরফান।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৬ ডিসেম্বর ২০১৮/ইকবাল