ওষুধ নয় ঘাড় ও পিঠের ব্যথায়, থেরাপি নিন
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ঘাড়, কাঁধ কিংবা পিঠের ব্যথায় আগেভাগে ‘ফিজিকাল থেরাপি’ নেওয়া শুরু করলে ওষুধ খাওয়ার পরিমাণ কমতে পারে।
আর এরকম ফলাফলই পাওয়া গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায়।
ব্যথা কমানোর ওষুধে আফিম বা আফিমজাতীয় উপাদান থাকে। এই অনুভূতিনাশক উপাদান যন্ত্রণার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। বেশি পরিমাণে এই ওষুধ গ্রহণ করলে আসক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
তাই এই গবেষণার ফলাফল থেকে জানানো হয়- ঘাড়, পিঠ কিংবা কাঁধে ব্যথার চিকিৎসায় ওষুধ নয়, ‘ফিজিকাল থেরাপি’য়ের সাহায্য নেওয়া উচিত।
গবেষকদের মতে, থেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে ‘মাস্কুলোস্কেলেটাল’ বা পেশি-হাড় সম্বন্ধীয় ব্যথা সামলানো সম্ভব এবং এই পদ্ধতি ওষুধের ওপর নির্ভশীল করে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব রোগী ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ফিজিকাল থেরাপি’ নিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়ার তিন মাস থেকে এক বছর সময়সীমায় তাদের ব্যথার ওষুধের সেবনের পরিমাণ কমেছে হাঁটুর ব্যথার ক্ষেত্রে ১০.৩ শতাংশ, কাঁধের ব্যথার ক্ষেত্রে ৯.৭ শতাংশ এবং পিঠ ব্যথার ক্ষেত্রে ৫.১ শতাংশ।
স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক এরিক সান বলেন, “ফিজিকাল থেরাপি কোনো জাদুকরি বিষয় নয় তবে ব্যথা নিয়ন্ত্রণের অত্যন্ত কার্যকার একটি উপায়। আর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের গবেষণা অনুযায়ী, রোগীকে সঠিক সময়ে ফিজিকাল থেরাপি দেওয়া গেলে তাদের দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধের উপর নির্ভরশীল থাকার সম্ভাবনা কমে।”
এই গবেষণায় জন্য ৮৮ হাজার ৯৮৫ জন রোগীকে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
‘জামা নেটওয়ার্ক ওপেন’ নামক জার্নালে প্রকাশিত হওয়া গবেষণায় আরও জানানো হয়, একজন ব্যক্তি ঘাড়, পিঠ কিংবা কাঁধের ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ফিজিকাল থেরাপি নেওয়া শুরু করলে তিন থেকে এক বছরের মধ্যে তার ব্যথার ওষুধ সেবনের প্রয়োজনীতা অনেকাংশে কমে যায়।
যেসব চিকিৎসক ব্যথা নিয়ন্ত্রেণের জন্য ওষুধের বিকল্প খুঁজছেন তাদের জন্য এই গবেষণা উপকারী দিক নির্দেশনা প্রদান করবে বলে আশা করে গবেষকরা।