রুহুল আমীন খন্দকার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান :
রাজশাহী জেলা প্রশাসকের আয়োজনে, প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী পার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বুলবুলকে
আপনার কাছে রেখে যাচ্ছি। নির্বাচন পর্যন্ত তিনি আপনার কাছে থাকবে। আমরা জানতে চাই রাজশাহীতে কয়টা সিট আসন সরকারি দল চায়। সেটি আমাদের বলে দিন। আমরা সে আসনগুলোতে ভোট করবো না। এ সময় রিটানিং কর্মকর্তা বলেন, যা
অভিযোগ আছে লিখিত দেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। বুলবুল প্রসঙ্গে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে কোন মামলা থাকলে আমার কিছু করার নেই। তবে মামলা না থাকলে তাকে কেউ গ্রেপ্তার করবে না, সে নিশ্চয়তা দিচ্ছি। সোমবার ২৪শে ডিসেম্বর ২০১৮ দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার এসএম আব্দুল কাদেরে সাথে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অন্যান্য বিএনপি নেতারা নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মী-সমর্থকদের হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও আটকের কথা বলেন। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সাবেক রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। ওই বক্তব্য ফাঁস হওয়ার পর থেকেই তাকে গ্রেপ্তারের গুঞ্জন উঠে। এরইমধ্যে রোববার রাতে বুলবুলের বাড়ির সামনে সাদা পোশাকে অবস্থান নেয় পুলিশ। পরে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু গিয়ে বুলবুলকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসেন। রাজশাহী-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী এ্যাডবোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন, আমার এলাকায় নৌকা প্রার্থীর লোকজন ও প্রশাসন ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। চলছে গণগ্রেফতার। প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুবদল নেতা পুলিম পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে পায়ে গুলি করে ফেলে রেখে গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিলে দেখবেন, প্রতিদিন আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে ধানের শীষে ভোট করা লোকদের হামলা করে পাঠানো হয়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৫ ডিসেম্বর ২০১৮/ইকবাল