October 6, 2024, 4:13 am

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন ক্ষমতা! নাকি আড়ালে ছিলো ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার?

জেএসসির প্রশ্ন ফাঁসের জন্য শিক্ষকদের দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী

জেএসসির প্রশ্ন ফাঁসের জন্য শিক্ষকদের দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক                  

 

চলমান জেএসসি পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন ফাঁসের জন্য শিক্ষকদের দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রশ্নপত্র ছাপানোর স্থান বিজি প্রেস থেকে এখন প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি করছেন তিনি। এবারের জেএসসিতে প্রায় প্রতিটির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়েছে বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ। ইন্টারনেটে আসা কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার মূল প্রশ্নপত্রের মিল কও পেয়েছে। আগে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় আগের রাতে প্রশ্নপত্র মিললেও এবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরীক্ষা শুরুর এক থেকে আধা ঘণ্টা আগে তা ফাঁস হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, আগে বিজি প্রেস (সরকারি ছাপাখানা) ছিল প্রশ্ন ফাঁসের জন্য খুবই রিস্কি জায়গা। এখন সেখানে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রশ্নপত্র ছাপানোর পর সিলগালা করে জেলাগুলোতে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে যায় থানায় থানায়। ওই পর্যায়েও প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই বলে দাবি টানা আট বছর শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নাহিদের। তিনি বলেন, কেবল মাত্র সকাল বেলা ওই দিনের প্রশ্ন প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। কারণ আমরা সকাল বেলা যখন শিক্ষকের হাতে প্রশ্ন দিই, তখন কিছু শিক্ষক আছেনৃ যারা সেটা আগেই অ্যারেঞ্জমেন্ট করে রাখেন, প্রশ্নপত্র ছাত্রদের দিয়ে দেন। এই বছরও সাড়ে ৯টার পরে একটি প্রশ্ন ফেইসবুকে দিয়ে দিয়েছে। শিক্ষকের হাতে যখন প্রশ্নপত্রটি গেল; তখন নিরাপত্তা ব্যাহত হল। এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন শিক্ষামন্ত্রী, যাতেও সফল হননি তিনি। আমরা এবার পদক্ষেপ নিয়েছি। সকাল বেলা আধা ঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীরা হলে ঢুকবে। একটু রেস্ট পাবে, খাতায় তার নাম-ধাম লেখালেখির কাজও সেরে নেবে। আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্নের খামটা খোলা হবে। আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্র ঢোকার নিয়ম প্রথমবার কড়াকড়িভাবে পালন করা হয়নি। শিক্ষকরা বলছেন, দেরির বিভিন্ন কারণ দেখানোর পর শিক্ষার্থীদের স্বার্থে তা মেনে নিতে হয়েছে তাদের। নিয়মটি কড়াকড়িভাবে পালনের দায়িত্বটি সরকারকেই দিতে চাইছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দায়ী করে নাহিদ বলেন, আমরা শিক্ষকদের নৈতিকতার উন্নতির বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। এজন্য সকলের সহযোগিতা চাই। তা না হলে এগোতে পারব না। এদিকে চলমান জেএসসিতে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের কেন্দ্র সচিব ড. শাহান আরা বেগমসহ বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেছেন, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর দায়িত্বটি সরকারের। সরকার চাইলেই তা বন্ধ করতে পারে। সংসদে প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া আছে। পরীক্ষার সময় স্মার্টফোন ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এরপরও এই ধরনের ঘটনা ঘটার কথা স্বীকার করে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী। আরেক প্রশ্নের জবাবে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে আইন করার কথাও বলেন তিনি। নাহিদ বলেন, আমাদের গার্ডিয়ানদের অনেকের টাকা বেশি। অনেক শিক্ষক ক্লাসে পড়ান না, কোচিং বাণিজ্য করেন। দোকান খুলে কোচিং বাণিজ্য চলছে। এগুলোর সঙ্গে শিক্ষক ও অধ্যাপকরা জড়িত বিধায় আমরা প্রচ- চাপ দিয়েও বন্ধ করতে পারছি না। এজন্য আমরা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি। আপনারা (এমপিরা) পাস করে দিলে এটা হয়ত আর হবে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় ‘সাম্প্রদায়িক প্রশ্নের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম কি তা জানতে চাওয়া হয়ে ছিল একটি প্রশ্নে। নাহিদ বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম সম্পর্কিত অনাকাক্সিক্ষত প্রশ্নটি দেওয়ায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নজরে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার সুপারিশের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না- এই প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করার কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত। সরকার সেখানে অর্থ দেয়, কিন্তু হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট আছে। সিন্ডিকেট এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলছে, এখন নির্বাচন দেওয়ার পরিবেশ নেই। তবে তারা চেষ্টা করছে, যোগ করেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কলেজগুলোর বিষয়ে নাহিদ বলেন, কলেজগুলোও নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে চায় না। তারপরও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কলেজে নির্বাচন হচ্ছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর