বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ
আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ ঠিক।বাকী মাত্র ১০ দিন।নির্বাচন অবাধ- সুষ্টু করতে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশন। কক্সবাজার এর বাইরে নয়।তাই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অর্থের বিনিময়ে কোন বিশেষ গোষ্ঠীর হয়ে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের নির্বাচনের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।জানা যায়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে ভোটের আমেজ শুরু হয় প্রার্থী এবং ভোটারদের মাঝে। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনী প্রচারে মুখর হয়ে ওঠে শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত। তবে রাজনৈতিকভাবে সম্প্রীতির জেলা কক্সবাজারে এবার নির্বাচনে আশঙ্কার নাম রোহিঙ্গা। কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনেই অবস্থান এসব রোহিঙ্গার। যার কারণে যত শঙ্কা এ আসনের প্রার্থীদের। রোহিঙ্গাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের আশঙ্কা থাকলেও নেই বলছে বিএনপি।জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বার্তা২৪ কে বলেন, যদি নির্বাচনে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাহলে নৌকায় ভোট বিপ্লব হবে। কিন্তু জামায়াত-বিএনপিদের আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে সহিংসতা ঘটনার পরিকল্পনা করছেন।শঙ্কা নেই জানিয়ে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেউ সহিংস ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়তে পারবে না। কারণ কেউ যদি তাদের ব্যবহার করে তাহলে সেটা আমরা দেখব।এদিকে জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন,অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের কোন গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারে। আর সেটাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, রোহিঙ্গাদের যদি অর্থের বিনিময়ে তাদের নির্বাচনী মিছিল, মিটিং ও সমাবেশে নিয়ে যায়। সেখানে যদি কোন সহিংস ঘটনা ঘটে। ওইখানেই শঙ্কার জায়গাটা। তাই প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং কিছু এনজিও সংস্থার উপরও নজরদারি রাখতে হবে।টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, টেকনাফে যেকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে তার আশেপাশের এলাকায় পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাশিবিরগুলোতে পুলিশ ফাঁড়িগুলোতেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যে সকল ক্যাম্পকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে সেখানে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারিও রাখা হয়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৩ ডিসেম্বর ২০১৮/ইকবাল