মোশাররফ হোসেন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসারের স্বীকৃতি লাভ করেছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের ক্ষেত্রে তিনি নভেম্বর মাসের ‘শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তিকারি অফিসার’ সম্মাণনা লাভ করেন। ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরষ্কারের ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেন ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি। এসময় অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভুইয়া এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলার পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিন একইসাথে ময়মনসিংহ রেঞ্জে নবেম্বর মাসের শ্রেষ্ঠ এসপি, শ্রেষ্ঠ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক সহ ৯ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান নবেম্বর-২০১৮ মাসে ৩০টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করেন। তন্মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ৫ আসামী গ্রেপ্তার করে এসআই মোস্তাফিজ আলোচনায় আসেন। যার তাকে বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক পুরষ্কারের স্বীকৃতি পেতে সহায়তা করেছে। উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজ ২০১৪ সাল থেকে শেরপুর সদর থানায় কর্মরত রয়েছেন এবং গত বছরের মার্চ মাসেও তিনি ময়মনসিংহ রেঞ্জের সেরা উপ-পরিদর্শকের পুরষ্কার পেয়েছিলেন।শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এসআই মোস্তাফিজ একজন চৌকস অফিসার। তার পুরষ্কারপ্রাপ্তি কাজের স্বীকৃতি বলে মনে করি। পুরষ্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুরষ্কার সব সময়ই সম্মানের। এটা কাজের স্বীকৃতি বহন করে। রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসারের পুরষ্কার পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। এ পুরষ্কার আমাকে ভবিষ্যতে আরও দায়িত্বশীলতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন এবং নতুন উদ্যমে কাজের অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমি এজন্য রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, সদর থানার ওসি সহ সহকর্মী অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের সহযোগিতা আমাকে এ সম্মাণনা পেতে সহায়তা করেছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৩ ডিসেম্বর ২০১৮/ইকবাল