January 17, 2025, 4:47 pm

সংবাদ শিরোনাম
সম্ভাবনার নতুন দ্বার ‘বাউ মুরগি’, চিলাহাটিতে ভাগ্য ফিরেছে নারীদের শিবচরে খানকান্দি দৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ শিবচরে খানকান্দি দৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ টেকনাফ ২ বিজিবি”র অভিযানে আটক-৬ লক্ষ্মীপুরে তিন পুলিশ সদস্যকে পেটালেন সিএনজি চালকরা মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন

ট্রাম্পের পারমাণবিক প্রভুত্ব নিয়ে মার্কিন সিনেটে শুনানি

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 

পারমাণবিক হামলা চালানোর প্রভুত্ব প্রেসিডেন্টের একক এখতিয়ারে রাখা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পর্যালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। ক্যাপিটল হিলে গতকাল যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক পরিষদ শুনানিটি করে বলে বিবিসি জানিয়েছে। এর সামনে ১৯৭৬ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সর্বশেষ এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। ‘পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার আদেশের কর্তৃত্ব’ নিয়ে অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে বেশ কয়েকজন সিনেটর বলেছেন, ট্রাম্প দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে পারমাণবিক হামলার নির্দেশ দিতে পারেন।

অন্যদের ভাষ্য, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের শক্তি প্রেসিডেন্টের হাতেই থাকা উচিত।

তিন মাস সামনে উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে ট্রাম্পের দেওয়া হুমকিই শুনানিতে ঘুরে ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

অগাস্টে দেওয়া ওই হুমকিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্র কাজের তালিকা বিস্তারের পথ থেকে সরে না আসে তাহলে এমন ‘আগুন ও উন্মত্ততা’র ঘটনা ঘটবে, বিশ্ব যা সামনে দেখেনি। গত মাসে সিনেট কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান বব ক্রোকার যুক্তরাষ্ট্রকে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পথে’ নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছিলেন। শুনানিতেও তিনি ট্রাম্পকে ‘পূর্ণ ভরসা রাখা যায় না’ এমন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অ্যাখ্যা দেন। শুনানিতে ভাগ নেওয়া ডেমোক্রেট সিনেটররা ট্রাম্পের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের একক ক্ষমতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। “এটা নিয়ে অনুমানমূলক আলোচনা হতে পারে না,” বলেন মেরিল্যান্ডের ডেমোক্রেট সিনেটর বেন কার্ডিন। কানেকটিকাটের ডেমোক্রেট সিনেটর ক্রিস মারফির মতে, ‘অস্থির, দোদুল্যমান’ বর্তমান প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া বাস্তবতাবর্জিত। “যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের ধারেকাছেও নেই এমন ক্ষেত্রেও তিনি পারমাণবিক হামলার নির্দেশ দিয়ে বসতে পারেন,“ বলেন মারফি। এসব ক্ষেত্রে সামরিক কর্মকর্তাদের সচেতনতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের দায়িত্বে থাকা সি রবার্ট কেহলার। তিনি বলেন, দায়িত্বে থাকলে তিনি এ ধরণের নির্দেশ তখনই মানতেন, যখন তা ‘বৈধ বলে বিবেচিত হতো’। বৈধতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ নিয়ে নিজের উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করতেন বলেও জানান এ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। “আমি হয়তো বলতাম, নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রস্তুত নই,” বলেন কেহলার। ডিউক ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক পিটার ফিভার বলেন, প্রেসিডেন্টের আদেশের বিষয়ে সংসদ সদস্য, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সামরিক বাহিনীর নির্দিষ্ট সামান্য কর্মকর্তার ভেটো শক্তি থাকা উচিত।

“প্রেসিডেন্ট একটি বোতামে চাপ দেবেন আর মিসাইলগুলো উড়ে যাবে, তা হতে পারে না,”বলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট তাড়াহুড়ো করছেন এমনটা অনুভূত হলে সামরিক কর্মকর্তাদের তাকে থামিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতি বিষয়ক সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান ম্যাককিওন।

 

“এসব ক্ষেত্রে চার তারকা জেনারেলদের মুখ বুজে থাকা উচিত নয়,” বলেন তিনি। অন্যদিকে ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্রেট সিনেটর এডওয়ার্ড মার্কি ‘প্রেসিডেন্টকে থামাতে জেনারেলদের ওপর ভরসা রাখা’র বিষয়ে অসম্মতি জানান। শুনানির অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল, মিনিট অথবা সেকেন্ডের ব্যবধানে যে প্রেসিডেন্ট পারমাণবিক হামলার নির্দেশ দেবেন, তার ওপর সিনেটর এবং মার্কিন জনগণের ভরসা আছে কি না। বর্তমান আইনে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, সামরিক কাজের ব্যাপারে প্রধান ব্যক্তি অথবা কংগ্রেস সদস্যদের পর্যালোচনার সময় খুবই সীমিত, তাই ডেমোক্রেট সিনেটররা এ বিষয়ে নতুন আইনের আহ্বান জানান। যদিও ক্রোকার তাতে সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। “এখনি নতুন আইনের প্রয়োজন দেখছি না। সামনের মাসগুলোতে অবস্থার পরিবর্তন অনুযায়ী এ নিয়ে ভাবা যাবে,” বলেন সিনেটের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কমিটির এ চেয়ারম্যান। রিপাবলিকান প্রচুর সিনেটর বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন। “আক্রান্ত হলে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রেসিডেন্টের শক্তি থাকতে হবে,” বলেন সিনেটর মার্কো রুবিও। আইডাহোর সিনেটর জেমস রিসচ পিয়ংইয়ং যেন এই শুনানির ভুল ব্যাখ্যা না হয় সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন। “তার (ট্রাম্প) উচিত হবে দেশকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব সামান্য করা,” বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র আরও আধুনিক করার ব্যাপারেও শুনানিতে সবাই একমত হন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর