সরকারী আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটার মালিকরা ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি নিয়ে ইট তৈরির কাজ চালাচ্ছে । ইট পোড়ানোর প্রস্তুতি হিসেবে হাজার হাজার মন কাঠ জড়ো করলেও প্রশাসন রয়েছেন নিরব ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই মহেশপুর উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটার মালিক লোকালয়ে এমনকি ফসলি জমির উপর অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মান করে হাজার হাজার মণ কাঠ দিয়ে দেদারছে ইট পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । ইট তৈরি এবং পোড়ানোর আগেই কিছু কিছু ইটভাটায় স্তুপ করা হচ্ছে খড়ি আর ফসলি জমির উপরি ভাগের মাটি। গাছ কেটে ফেলার কারনে একদিকে পরিবেশ যেমন হুমকির মুখে পড়ছে তেমনি আবাদযোগ্য জমির টপ সয়েল কেটে ফেলায় ফসলি জমি তার উর্বরশক্তি হারাচ্ছে । অপর দিকে সবুজ বেস্টনি উজার করে গাছ কেটে ফেলার কারণে সামাজিক পরিবেশ আজ হুমকির মুখে পড়ছে ।
জানা যায়, চলতি বছরে মহেশপুর উপজেলায় প্রায় ২০টি ইটভাটা রয়েছে ।এর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি ভাটার লাইসেন্স থাকলেও অধিকাংশ ইটভাটা লাইসেন্স বিহীন চালিয়ে যাচ্ছে ।
সরকারী নীতিমালায় রয়েছে আধুনিক ইটভাটা স্থাপন করতে হবে এবং কাঠের পরিবর্তে কয়লা দিয়ে ইট পোড়াতে হবে। কিন্তু কয়েকটি ভাটা মালিক তা মানলেও বাকিরা সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুরাতন ফিট চিমনি পদ্ধতি ব্যবহার করছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন সংক্রান্ত কর্মকান্ড আইন থাকলেও অধিকাংশ ভাটা মালিক তা মানছেন না। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল এমনকি সড়কের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে ভাটা স্থাপন সরকারী আইন লঙ্ঘন হলেও অধিকাংশ ভাটামালিক তা তোয়াক্কা করে না। ফলে ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া ,ভাটার কাজে চালিত ফিটনেছ বিহীন গাড়ির ধুলাবালিতে সৃস্টি হচ্ছে নানা রোগব্যাধি।
ইটভাটা তৈরির কারণে যেমন আবাদি জমি নষ্ট হচ্ছে ,তেমনি ইট পোড়াতে ফলজ,বনজ,ওষদি গাছ সহ নানা প্রজাতির গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।
মহেশপুর উপজেলা কৃর্ষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু তালহা বলেন, ইটভাটা তৈরির কারণে দিন দিন কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়াও ভাটা গুলো আবাদি জমির কাছে হওয়ার ভাটার ধুলাবালি ও ধোঁয়ার কারণে আবাদী জমির ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে । এব্যপারে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন ব্যাক্তিবর্গ ।