পেকুয়া প্রতিনিধিঃ
পেকুয়ায় বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। মাটির দেয়ালে সিঁধ কেটে
বসতবাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় সৌরবিদ্যুতের ব্যাটারী,স্বর্ণালংকার, ৪ টি বিদেশী কম্বল ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসনদসহ মূল্যবান দলিল ও দ্রব্যাদি নিয়ে যায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি রমিজপাড়া গ্রামে চুরির এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই দিন গভীর রাতে দুর্গম রমিজপাড়া গ্রামের মৃত শের আলীর ছেলে মনজুর আলমের বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। মনজুর আলমের ছেলে হাফেজ আয়ুব আলী জানায়, ওই দিন রাতে এদের বসতবাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়। বসতবাড়ির দেয়াল খুনতি দিয়ে ফটক সৃষ্টি করে। এ সময় তারা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় বাড়ির সকলকে ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে জিম্মী করে। তারা বসতবাড়ির আলমিরা থেকে স্বর্ণালংকার, কম্বলসহ দ্রব্যাদি নিয়ে যায়। তার পিতা সম্প্রতি একটি মসজিদ নির্মাণ করে। মসজিদের সৌরবিদ্যুতের ব্যাটারী সেখানে ছিল। চোরের দল সেটিও নিয়ে যায়। মনজুর আলমের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন জানায়, এর ১ মাস আগেও আমার বসতবাড়িতে চুরি হয়েছে। সে সময়ও টাকা পয়সা ও মুল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে। চুরির পাশাপাশি আমার জমি থেকে পাকা ফসল লুট করা হয়েছে। একদিকে দফায় দফায় বসতবাড়িতে চুরি। অন্যদিকে ভাড়াটে লোকজন এনে ফসল লুট সেটি কিসের আলামত। আমার স্বামীকে জেলে যেতে হয়েছে। এরপর বার বার চুরির ঘটনা আমাকে ও আমার সন্তানদের চরমভাবে ব্যথিত করেছে। ইউপি সদস্য হাজী শাহাব উদ্দিন জানায়, জেনেছি ১ মাসের মধ্যে মনজুর আলমের বসতবাড়িতে দ্বিতীয় দফা চুরি হয়েছে। তার ছেলেরা বলেছে তারা নাকি চরমভাবে নিরাপত্তাহীন। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম জানায়, তারাতো ভাই ভাইয়ে বিরোধ। আসলে চুরি কমে গেছে। এরপরও এলাকাটি পাহাড়ী দুর্গমে। আমি যে কোন মুহুর্তে সজাগ থাকি।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২২ নভেম্বর ২০১৮/ইকবাল