ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ফাঁস হওয়া নারদ ঘুষ-কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকা শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘুষ-কেলেঙ্কারিতে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দিল্লির নারদ নিউজ পোর্টালের কাছ থেকে পাঁচ লাখ রুপি ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ছিল। মামলাটির তদন্ত করছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)।
সাময়িক বরখাস্ত এই আইপিএস পুলিশ কর্মকর্তার নাম এস এম এইচ মির্জা। ২০১৬ সালে তিনি বর্ধমানের পুলিশ সুপার ছিলেন। পরবর্তী সময় তাঁকে রাজ্য পুলিশের ব্যারাকপুর স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্সের কমান্ডিং কর্মকর্তা করা হয়।
ব্যারাকপুরে অবস্থানকালে মির্জা একটি ঘুষ মামলায় তাঁর অধস্তন উপপরিদর্শক (এসআই) সৌভাগ্য দাসকে বরখাস্ত করেছিলেন। ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দাবি করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সৌভাগ্য দাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর তাঁর স্ত্রী সোনামণি দাস পুলিশ কর্মকর্তা মির্জার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনেন। মৃত্যুর আগে লেখা সুইসাইড নোটে মির্জার নাম উল্লেখ করে যান ওই এসআই। রাজ্য পুলিশের ডিআইজি অজয় নন্দার নেতৃত্বে বিভাগীয় তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাজ্য সচিবালয়ে এই প্রতিবেদন পৌঁছানোর পরপরই সৌভাগ্য দাসকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় মির্জাকে।
এস এম এইচ মির্জা তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত ও বিজেপিতে সদ্য যোগদান করা নেতা মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে দিল্লির নিউজ পোর্টাল নারদ এক স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে ফাঁস করে তৃণমূলের ১২ নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও কলকাতার মেয়রের ঘুষ গ্রহণের তথ্য। এর সঙ্গে ছিল মির্জার নামও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পাঁচ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার। আর মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ২০ লাখ রুপি ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ছিল।