ঘুষ নেওয়ার সময় দুদকের হাতে গ্রেফতার ওয়াকফ কর্মকর্তা কারাগারে
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নিজ কার্যালয়ে বসে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী প্রশাসক মো. মোতাহার হোসেন খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানানো হয়। অন্যদিকে মোতাহারের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন কর্মকর্তা সহিদুর রহমান। গতকাল সোমবার দুপুরে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে ওয়াকফ কার্যালয়ে মোতাহার হোসেন খানকে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করে। দুদক কর্মকর্তারা জানান, ২০১৩ সালের ১ অগাস্ট ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার বাঘৈর জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য মসজিদের শূন্য দশমিক ৯৪ একর সম্পত্তি বিক্রয়ের অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক কার্যালয়ে একটি আবেদন করা হয়। মসজিদের মোতয়ালি আবুল বাশার বেপারী ওই আবেদনটি করলেও পরে তিনি মোতওয়াল্লি কমিটি সদস্য মো. ফারুক হোসেনকে সম্পত্তি বিক্রির ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। সম্প্রতি ফারুক হোসেন দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬ নম্বরে অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে সহকারী প্রশাসক মোতাহার হোসেন কাজটি করে দেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। ঘুষের ৫০ হাজার টাকা হস্তান্তরের দিন গত রোববার দুদক দলের সদস্যরা সকাল থেকেই ওয়াকফ কার্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নিজ দপ্তরে বসে যখন মোতাহার হোসেন খান ঘুষ নিচ্ছিলেন তখন দুদক দলের সদসরা তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। ওই সময় মোতাহারের প্যান্টের পকেট ও আলমারি তল্লাশি করে আরও ৭৯ হাজার টাকা পাওয়া যায় জানিয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছিলেন, এসব টাকার উৎস সম্পর্কেও মোতাহার কোনো জবাব দিতে পারেননি। এই ঘটনায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দীন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।