November 11, 2025, 5:08 pm

সংবাদ শিরোনাম
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা-মৌলভীবাজারের চার আসনেও মনোনয়ন চূড়ান্ত প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা কলি’ নিতে সম্মত এনসিপি বৃষ্টি আর বাতাসে নুয়ে পড়েছে ধানক্ষেত, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা ঝিকরগাছায় নাতিজামাই এর হাতে নানা শ্বশুর খুন র‍্যাব-১৩ এর অভিযানে লালমনিরহাটে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য এস্কাফ (ESKuf) ও গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রংপুরের মোবারক আলী হত্যা মামলার মূলহোতা গ্রেপ্তার নবীগঞ্জে বার বার মেয়ে প*রকিয়া**য় জড়িয়ে পরার কারণে নিজ হাতে খু*ন করলেন পিতা বেনাপোল সীমান্ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার। সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে রাতের আঁধারে বালু হরিলুট

সনাতন পদ্ধতি ছড়েে বাণজ্যিকি ভত্তিতিে ‘কৈ’ মাছ চাষ : র্বাষকি মুনাফা ৫-৬ লাখ টাকা

সনাতন পদ্ধতি ছড়েে বাণজ্যিকি ভত্তিতিে ‘কৈ’ মাছ চাষ : র্বাষকি মুনাফা ৫-৬ লাখ টাকা
পলাশ কান্তি মণ্ডল,  ডুমুরয়িা (খুলনা) প্রতনিধিি

সনাতন পদ্ধতি ছেড়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছের চাষ করে ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন সৌখিন মৎস্য চাষী গনেশ চন্দ্র মন্ডল। বর্তমান তিনি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কৈ মাছ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলাধীন গুটুদিয়া মৌজার বগারখোর নামক বিলে প্রায় ৩ বিঘা জমিতে ৩টি ঘেরে প্রতি বছর ২৫ থেকে ২৬ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করছেন। যার বর্তমান বাজার মুল্য ৩৩ থেকে ৩৪ লাখ টাকা। উৎপাদন খরচসহ যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ শেষে প্রতি বছর গনেশ তার প্রকল্প থেকে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করছেন। তিনি এর আগে ওই ঘেরে গলদা চিংড়ী, রুই, মনোসেক্স তেলাপিয়া, পাঙ্গাস জাতীয় মাছের চাষ করতেন।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, মির্জাপুর গ্রামের কীরণ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে গণেশ চন্দ্র মন্ডল খড়িয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি সৌখিনভাবে মাছের চাষ শুরু করেন দীর্ঘ ২০/২২ বছর পূর্বে থেকে। বর্তমান থাই জাতের কৈ মাছের চাষ করে এলাকায় তিনি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। প্রথমে তার নিজস্ব ৫০ শতক জমিতে কৈ মাছের চাষ শুরু করেন। পরবর্তিতে লাভজনক হওয়ায় তিনি আরো ১’শ শতক জমি হারিতে নিয়ে মোট ৩টি ঘের কেটে সেখানে এ মাছ চাষ করছেন। পুকুরের চারপাশ নেটের বেষ্টনি দিয়ে সুন্দরভাবে ঘিরে বানিজ্যিক ভিত্তিতে তিনি থাই কৈ মাছের চাষ করে ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছেন। বর্তমানে তার মৎস্য খামার হতে বছরে ২৬ থেকে ২৭ মেঃটন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। যার বর্তমান বাজার মুল্য ৩৩ থেকে ৩৪ লাখ টাকা। এ প্রকল্প থেকে বছরে ৫/৬লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করছেন সে। মৎস্য বিভাগ থেকে এ যাবতকাল কোন সহযোগিতা না পেলেও বিভিন্ন কোম্পানির সহযোগিতায় কৈ মাছ চাষ করে নিজের ভাগ্যকে বদলিয়েছেন তিনি। তার মৎস্য ঘেরের মাছ দেখতে প্রতিদিন স্থানীয় লোকজন ভীড় জমাচ্ছেন।
মাছ চাষী গণেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, আগে সনাতন পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতাম। এতে তেমন লাভ হতো না। লোকসানের ঝুঁকি ছিলো বেশি। পরবর্তিতে যশোর এলাকায় একটি মৎস্য প্রকল্পে প্রশিক্ষন নিয়ে ৩ বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে থাই কৈ মাছের চাষ করে আসছি। কোন ধরণের সমস্যা হয়নি। কৈ চাষ করে বছরে ৫/৬ লাখ ঘরে তুলতে পারছি। আমার পাশ্ববর্তি মাছ চাষীদেরকেও কৈ চাষে উদ্ধুদ্ধ করছি। তিনি বলেন, মৎস্য বিভাগ যদি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার পাশাপাশি মাছ চাষীদের আর্থিক সহযোগিতা দিতো তা হলে কৈ চাষে বিপ্লব ঘটানো আরো সহজ হতো।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সরোজ কুমার মিস্ত্রি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনানুযায়ী ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য বিভাগ সর্বক্ষনিকভাবে চাষীদেরকে প্রশিক্ষন, পানি ও মাটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। যে কারণে মাছ চাষে বিপ্লব ঘটেছে। চাষীদেরকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়েও সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রায় ২’শ কৈ মাছের খামার রয়েছে। বিরুপ পরিবেশে কৈ মাছ বাঁচতে পারে এবং এর মৃত্যুহার খুবই কম। এছাড়া অধিক ঘনত্বে এবং এক বছরে দুই থেকে তিন বার চাষ করার ফলে কৈ মাছ চাষে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব বিধায় চাষীরা কৈ চাষে ঝুঁকে পড়েছে। তবে বর্তমান বাজার মুল্য কম। সেক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে চাষাবাদ করা হলে চাষীরা লাভবান হবে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর