চোরের ওপর বাটপারি
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
চোরের ওপর বাটপারি বোধ হয় একেই বলে! মিয়ানমার থেকে চোরাকারবারিরা ভারতের আসাম রাজ্যের দিকে নিয়ে আসছিল প্রায় দুই কোটি রুপি মূল্যের সোনার বার। কিন্তু মাঝপথে ছিনতাইকারীরা সেগুলো লুট করে নেয়। সোনা লুট হলেও গ্রেপ্তারের ভয়ে পুলিশেও নালিশ জানাতে পারছে না পাচারকারীরা।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সোনা পাচারকারীদের পাশাপাশি দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করার তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার মণিপুর পুলিশ জানায়, মিয়ানমার থেকে ৪৫টি সোনার বার নিয়ে মণিপুর হয়ে আসামে যাচ্ছিল চোরাকারবারিরা। কিন্তু মিয়ানমারের মোড় থেকে সোনা নিয়ে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল হয়ে আসাম সীমান্তে জিরিবামের কাছে পৌঁছাতেই খপ্পরে পড়ে ছিনতাইকারীদের। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ছিনতাইকারী গাড়ি থামিয়ে ৪৫টি সোনার বার নিয়ে চম্পট দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ অক্টোবর। কিন্তু পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এতদিন ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল ঘটনাগুলো। গতকাল পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। রাজ্য পুলিশ বলছে, ছিনতাইকারী ও চোরাকারবারিদের ধরতে তারা সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এখনো তাদের নাগাল পায়নি।
মণিপুরের মোড়ে সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করে। ভারতীয় ও মিয়ানমারের বাসিন্দারা সীমান্তে নির্দিষ্ট একটি এলাকায় বিনা পাসপোর্ট-ভিসায় যাতায়াত করতে পারে। মোড়েতে সীমান্ত ঘেঁষেই রয়েছে বাণিজ্যিক কেন্দ্র। নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে আসাম রাইফেলস। কিন্তু তাদের ফাঁকি দিয়ে প্রায়ই চলছে চোরাকারবার বাণিজ্য।
এই মাসেই মিয়ানমার মোড়ে ধরা পড়ে ১২টি সোনার বিস্কুট। বাজারদর দুই কোটি টাকারও বেশি। গুয়াহাটি স্টেশন থেকেও সম্প্রতি দেড় কেজিরও বেশি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। আসাম রাইফেলসের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিস্কুট পাচারকালে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে ১০টি সোনার বার উদ্ধার করে শুল্ক দপ্তর।
মণিপুরের জিরিবাম থানার ভারপ্রাপ্ত আধিরিক পুলক মজুমদারের দাবি, প্রস্তাবিত ট্রান্স এশিয়া সড়কে চুরি-রাহাজানি বাড়ছে। ক্ষতি হচ্ছে দুই দেশের অর্থনীতিরই। আসাম রাইফেলসের পাশাপাশি পুলিশও তাই সতর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।