March 24, 2025, 3:55 pm

সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বনাথে যুবকের ঝুলন্ত লা শ উদ্ধার গংগাচড়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুড়িগ্রামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ১৮ দিন বাড়িতে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মৌলভীবাজার এসোসিয়েশন অব মিশিগানের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন জৈন্তাপুরে ২৫শে মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শার্শার বৃদ্ধা হত্যা মামলার আসামী নারায়নগঞ্জ হতে আটক জামালপুরে তিস্তা নদী আমার অধিকার-সমস্যা ও প্রতিকার শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন বান্দরবানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে গনধর্ষনে অভিযোগ ৪ জনকে গ্রেফতার সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হলেন মোংলার কৃতি সন্তান মনিরুজ্জামান

রেকর্ড দামে বিক্রি হলো টাইটানিকে বসে লেখা শেষ চিঠি

রেকর্ড দামে বিক্রি হলো টাইটানিকে বসে লেখা শেষ চিঠি

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

ব্রিটিশ জাহাজ টাইটানিকে বসে লেখা সবশেষ চিঠিটি রেকর্ড দামে নিলামে বিক্রি হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল জাহাজটি ডুবে যাবার আগে লেখা ওই চিঠিটি ২ লাখ ১২ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। জাহাজটি ডুবে যাবার আগের দিন ১৩ই এপ্রিল এটি লেখা হয়েছিল। টাইটানিকে বসে লেখা চিঠিগুলোর মধ্যে একটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিল। সেটিই ছিল এতোদিন পর্যন্ত রেকর্ড মূল্য। বিক্রি হওয়া নতুন চিঠিটি সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। টাইটানিকের যাত্রী মার্কিন ব্যবসায়ী অস্কার হলভারসন তার মাকে ওই চিঠিটি লিখেছিলেন। হেনরি অ্যালড্রিজ অ্যান্ড সন নামের এক নিলাম প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে  চিঠিটি বিক্রি করেছে তার পরিবার। টাইটানিকের নোটপেপারে লেখা একমাত্র ওই চিঠিটি উত্তর আটলান্টিকের পানিতে ডুবে গিয়েছিল। পরে তা উদ্ধার করা হয়। পানিতে ডুবে গেলেও চিঠিটি নষ্ট হয়ে যায়নি। টেলিফোনে এর নিলামে অংশ নিয়েছিলেন ব্রিটিশ এক নাগরিক। তিনিই বিপুল দাম দিয়ে চিঠিটি কিনে নেন। নিলাম প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অ্যান্ড্রু অ্যালড্রিজ জানিয়েছেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্রিটিশ ক্রেতা “ইতিহাসের অভিনব সব জিনিস সংগ্রহে রাখেন”। হলভারসন ও তার স্ত্রী ম্যারি টাইটানিকে উঠেছিলেন সাউদাম্পটন থেকে। গন্তব্য ছিল তাদের নিউইয়র্কের বাড়ি। মায়ের কাছে লেখা হলভারসনের চিঠিতে ছিল টাইটানিক ও এর যাত্রীদের নিয়ে কিছু কথা। তিনি লিখেছিলেন “জাহাজটা বিশাল বড় এবং দেখতে রাজকীয় হোটেলের মতো। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জন জ্যাকব অ্যাস্টর ও তাঁর স্ত্রীও রয়েছে আমাদের সাথে। কোটি কোটি টাকা থাকলেও তিনি দেখতে আর দশটা সাধারণ মানুষের মতোই। ডেকের বাইরে তিনি আমাদের সঙ্গে বসে আছেন”।

টাইটানিক ডুবে যাবার ফলে যে পনেরোশো মানুষের মৃত্যু হয় তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হলভারসন। মাকে লেখা চিঠিতে যে ধনী ব্যক্তির কথা তিনি বলেছিলেন, সেই জেজে অ্যাস্টর ও তার স্ত্রীও ছিলেন প্রাণ হারানো ১৫০০ মানুষের মধ্যে। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী ম্যারি। হলভারসনের মরদেহ উদ্ধারের সময় তার পকেটে চিঠিটা পাওয়া যায়। ওই চিঠি তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। নিলাম প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অ্যালড্রিজ বলছেন “সম্ভবত এটাই জাহাজের কোনো যাত্রীর লেখা একমাত্র চিঠি যেটা তার মৃত্যুর কারণে পোস্ট না করা হলেও প্রাপকের কাছে পৌঁছেছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর