-
- সারাদেশে
- এবারের ঈদে আরও ভয়াবহ যানজটের আশংকা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে
- আপডেট সময় May, 31, 2018, 2:40 am
- 413 বার পড়া হয়েছে
সুমন মিয়া ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
ভোগান্তির আরেক নাম ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। চলতি বছরের মার্চ মাসে চার লেনের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও কাজের প্রায় ৩০ ভাগ বাকি রয়েছে। এক দিকে রাস্তার খানাখন্দ অন্যদিকে চলমান চার লেন প্রকল্পের কাজ করতে রাস্তার দুই পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে কাজ করায় প্রায় প্রতিদিনই যানজটসহ দুর্ঘটনার কবলে পরতে হচ্ছে গাড়ি চালক ও যাত্রীদের।
যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ও সড়কের বেহাল দশায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট যেন নিত্যদিনের ঘটনা। বর্ষা মৌসুমে চার লেন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এ মহাসড়কে এবার ঈদ যাত্রায় চরম যানজট ও ভোগান্তির আশংকা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গসহ ২১ জেলার দুরপাল্লর যাত্রী আর চালকদের মাঝে। যদিও ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা ও মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।
মহাসড়কের কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গা থেকে মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত প্রায় ৫০ কি.মি এলাকায় বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে চলমান চার লেন প্রকল্পের কাজ করতে রাস্তার দুই পাশ থেকে মাটি খুড়ে কাজ করায় স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চলতে পারছে না।
গাজিপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের কদিমধল্যা, পাকুল্যা, নাটিয়াপাড়া, টাঙ্গাইল বাইপাস, ধেরুয়া, ঘারিন্দা বাইপাস, রসুলপুর ও এলেঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে চলছে মহাসড়ক চার লেন উন্নিতকরণের কাজ। আর এসব কারনেই যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এবার ঈদে এ যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন দুরপাল্লার যাত্রী ও চালকরা।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাবনা থেকে এলেঙ্গা প্রায় ৭ কি.মি এবং মির্জাপুর থেকে গোড়াই পযর্ন্ত প্রায় ১০ কি.মি এলাকায় একেবারে যানচলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন উত্তরবঙ্গসহ ২৩টি জেলায় প্রায় ২০ হাজার গাড়ি চলাচল করে। ফলে রাস্তাটি গাড়ির তুলনায় এমনিতেই সরু হয়েছে। এর মধ্যে আবার রাস্তার খানাখন্দ।
মহাসড়কের চারলেন কাজের অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে ৫টি ফ্লাইওভার, ৭টি আন্ডার পাস, ২০টি কালভার্ট ও ২৬টি সেতু। সেতু ও কালভার্টের কাজ প্রায় শেষ হলেও ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসের কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় আগামী ঈদে এ ভোগান্তি আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন চালক ও যাত্রীরা।
হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মহাসড়কের চারলেন উন্নতিকরণের কাজের জন্য যানবাহনের ধীরগতি থাকছে ও মাঝে মাঝে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যাত্রীদের সাময়িক দুর্ভোগ হচ্ছে। যদিও ঈদে চারলেন প্রকল্পের কারণে যানজটের সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন এ প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে চার লেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিকরুল হাসান বলেন, চারলেন প্রকল্পের প্রায় ৬৫ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে মোট ২৮টি সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করার উপযোগী করা হয়েছে। আসন্ন ঈদে ঘড়মুখো মানুষ যাতে নিবিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে আমরা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে স্বর্বাত্তক চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
সংশ্লিষ্টদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষ যানজটমুক্ত পরিবেশে নিরাপদে স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৩১মে২০১৮/ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর