ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এর মধ্যে দিয়ে ছয় বছর পর প্রক্টর পদে একজনকে পেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর থেকে অধ্যাপক এম আমজাদ আলী ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে ওই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রক্টর পদে অধ্যাপক রব্বানীর নিয়োগ আগামি ২২ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ৪ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিলে ওই রাতেই ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী ও ১০টি হলের প্রাধ্যক্ষ তখনকার উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে ৮ সেপ্টেম্বর নতুন উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করে এসে তারা সিদ্ধান্ত বদলের কথা সাংবাদিকদের জানান। এরপর গত দেড় মাস আরেফিনপন্থি হিসেবে পরিচিত আমজাদ আলীই আগের মত ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে আখতারুজ্জামানের প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ওই পদে নতুন দায়িত্ব পাওয়া গোলাম রব্বানী এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটে সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছর মে মাসে সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের নীল দলের প্যানেল আরেফিনপন্থিদের নিয়ে গঠিত হলে তা চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে আলাদা প্যানেল দেওয়া হয়। সেই বিদ্রোহী প্যানেলে গোলাম রব্বানীর নাম ছিল, যদিও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের প্যানেলটি বাতিল হয়ে যায়। উপাচার্য পদে আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ ফুরিয়ে আসায় রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্ধারণ না করেই গত ২৯ জুলাই বিশেষ সিনেট সভা করে অর্ধেকের মত সদস্যের উপস্থিতিতে তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল চূড়ান্ত করা হয়। ওই সভা নিয়ে আপত্তি তুলে ১৫ জন রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট সে সময় হাই কোর্টে যান এবং আদালতের রায়ে পরে ওই সিনেট সভা ও উপাচার্য প্যানেল অবৈধ ঘোষণা করা হয়। যারা ওই রিট আবেদন করেছিলেন, অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী তাদেরই একজন। ৫০ বছর বয়সী গোলাম রব্বানী এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি শেরপুর জেলায়।