জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী তার গৃহশিক্ষক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের নাগেরপাড়া গ্রামের ওই গৃহশিক্ষক মনোয়ার হোসেনকে আসামি করে ১৮ মে রাতে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ১৯ মে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। গত ১২ মে ওই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের নাগেরপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে মনোয়ার হোসেন পাশের গ্রাম চরবংশী বেলতৈল গ্রামের এক দরিদ্র কৃষকের ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে বাসায় গিয়ে পড়াতো। মেয়েটি স্থানীয় বেলতৈল কিন্ডার গার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ওই গৃহশিক্ষক প্রায় ছয় মাস ধরে মেয়েটিকে পড়ায়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ১৯ মে দুপুরে এ প্রতিবেদককে জানায়, গত ১২ মে সকাল আটটায় গৃহশিক্ষক মনোয়ার হোসেন তাকে ফুসলিয়ে কম্পিউটার শেখানোর কথা বলে নাগেরপাড়ায় তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই রাতে তাকে আটক রেখে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন ১৩ মে সকালে মনোয়ার হোসেন তাকে মেলান্দহ থেকে জামালপুর শহরে নিয়ে যায়। শহরে দুপুর পর্যন্ত রিকশা ও ইজিবাইকে এখান থেকে সেখানে ঘোরাফেরা করে আবার মেলান্দহে বাড়ির কাছে নিয়ে তাকে রেখে কেটে পড়েন ওই গৃহশিক্ষক। পরে তাকে মেলান্দহ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/৭(১) ধারায় গৃহশিক্ষক মনোয়ার হোসেনকে আসামি করে ১৮ মে রাতে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই ওই গৃহশিক্ষক গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। মামলা দায়েরের পর মেলান্দহ থানা পুলিশ ১৯ মে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে।
মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ সেকান্দার এ প্রতিবেদককে বলেন, আসামি মনোয়ার হোসেন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৩০মে২০১৮/ইকবাল