ইকবাল হোসেন কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দক্ষিন কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ এলাকায় সোহাগ নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। সোমবার(৩০/0৪/২০১৮) বেলা ৩টার দিকে অপহরণকারীর ঘর থেকে সোহাগের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
একই দিন সকাল ১০টার দিকে স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে সোহাগকে অপহরণ করে প্রতিবেশী শাহীন (২৫)।
সোহাগের বাবা ইদ্রিস আলী জানান, মীরেরবাগ এলাকার ওরিয়েন্ট টেক্সটাইল মিল উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সোহাগ। সোমবার স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই মোবাইলে এক ব্যক্তি জানায় সোহাগকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে ৬ লাখ টাকা দাবি করে ওই ব্যক্তি। অন্যথায় সোহাগকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি জানান, তারা অপহরণকারীকে দুই লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। কিন্তু এতে অপহরণকারী শাহীন রাজি ছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি ঘটনাটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শোনার পর তারা তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত সাহায্য নেন এবং অপহরণকারীর অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হন। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে মীরেরবাগ এলাকা থেকে অপহরণকারী শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, জিজ্ঞসাবাদের একপর্যায়ে সে অপহরণের কথা স্বীকার করে এবং তার নিজ ঘরের খাটের নিচে লাশ লুকানো আছে বলে জানায়। পরে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে হাত-পা বেধে শ্বাসরোধে সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঘাতক শাহীনের বাবার নাম রফিক। শাহীন বখাটে প্রকৃতির ও মাদকসেবী ছিল। কাজকর্ম তেমন কিছু করত না।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৫মে২০১৮/ইকবাল