ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ
চরফ্যাশনে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আব্দুর রশিদ নামে ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার বৃদ্ধ আব্দুর রশিদকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়-আছলামপুর ইউনিয়নের দশনাম খাসপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পে ভিক্টিমের বাড়ি। অভিযুক্ত বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ ভিক্টিমের প্রতিবেশী। ভিক্টিম ও আব্দুর রশিদ পরিবার হতদরিদ্র-দিনমজুর। ভিক্টিমের বাবা অভিযোগ করেন-বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় গরুর জন্য বৃদ্ধ আব্দুর রশিদের বাদাম ক্ষেতে ঘাস তুলেতে যায় ভিক্টিম। এসময় আব্দুর রশিদ তার বাদাম ক্ষেতে কাজ করছিল। ভিক্টিমকে দেখে ঘাস তুলে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ওই বাদম ক্ষেতেই বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ ভিক্টিম ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ভিক্টিমের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের ক্ষেতে কাজ করা কৃষকরা এগিয়ে এসে ভিক্টিমকে উদ্ধার করে। লোকজন ছুটে আসলে আব্দুর রশিদ নিজ বাড়িতে গা-ঢাকা দেয়। পরে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়-হত দরিদ্র আব্দুর রশিদের নিজের কোন জমি নেই। সে এক বছরের জন্য ১৮ হাজার টাকায় এক কানি (১৬০ শতাংশ) জমি লগ্নি রেখে বাদামসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য চাষ করে। ভিক্টিম পরিবারেও কোন জমা জমি নেই। কিন্ত তারা গরু-ছাগল পালছে। এসব গরু-ছাগল প্রায়ই বৃদ্ধ আব্দুর রশিদের ফসল ক্ষতি করছে। এ নিয়ে ভিক্টিম পরিবারের সাথে আব্দুর রশিদের ঝগড়া-বিবাদ ছিল নিত্য দিনের ঘটনায়। ফলে আব্দুর রশিদকে জব্দ করতেই ন্যাক্কার জনক এমন অভিযোগের জম্ম দেয়া হয়েছে। যার পেছনে স্থানীয় একটি দুবৃর্ত্তচক্র সক্রিয় ছিল। চরফ্যাশন থানার ওসি ম.এনামুল হক বলেছেন-ভিক্টিমের বাবার দায়ের করা মামলায় আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার ও আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৩মে২০১৮/ইকবাল