সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
জামালগঞ্জ উপজেলার মৎস্য সহকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, মল্লিকপুর সানরাজ মৎস্যজীবী সমবয়ি সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি মানিক মিয়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নিকট গত রোববার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিগত ৬/৪/১৮ ইং তারিখের উপজেলাধীন সাধারন আবেদনে লম্বা বিল গোল বিল এবং জানি বিল জলমহাল ২টিতে অংশগ্রহণ করি। লম্বাবিল গোলবিল আমরা তীরবর্তী হই। আমাদের সমিতির এক জন সদস্য জীবিকার তাগিদে বিদেশ গমন করেন। আমরা নিময় অনুযায়ী উক্ত সদস্যকে বাতিল করে কর্তপক্ষকে অবহিত করি এবং জলমহাল তদন্ত কমিটির নিকট দাখিল করি। জামালগঞ্জ উপজেলার মৎস্য সহকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম আমাদেরকে রিপোর্ট দেখিয়ে বলেন সদস্য বিদেশ গেছে কারণে আপনারা জলমহাল পাবনে না তীরবর্তী হয়েও। আলাপ আলোচনার পর বাধ্য হয়ে ৩০ হাজার টাকা চুক্তিবদ্ধ হই এবং মিটিংয়ের পর টাকা দিব বলে রাজী হই। আমাদের কাছ থেকে নগদ টাকা না পেয়ে দুরবর্তী রাজাবাজ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর প্রতিনিধি ওয়াসীম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে আমাদের দাখিল কৃত কাগজপত্রাদির ২৫/২৬ নং পাতায় কারসাজি করে আমাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন। ২৫ ও ২৬ পৃষ্টায় যথাক্রমে সমিতির নাম ঠিকানা এবং মৎস্য কর্মকর্তার প্রত্যয়ন দাখির করি। আমাদের দাখিল কৃত কাগজপত্রের মধ্যে কর্মকর্তার প্রত্যয়নের উপরের দিকে সমিতির নাম ঠিকানা এবং নিচে স্বাক্ষরের জায়গায় সমিতির সভাপতির স্বাক্ষরে জুড়ে ফটোকপি করে তা সংযোজন করেন। যা দেখলে প্রতিয়মান হয়। আমাদের মৎস্য কর্মকর্তার প্রত্যয়ন যেহেতহু আছে সেকানে কারসাজির প্রশ্ন অবান্তর, মৎস্য সহকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম যোগসাজসে জালিয়াতি করেছেন তা তদন্ত প্রমাণ করিবে। অভিযোগ বিষয়ে একাধিক বার মুঠোপোনে যোগাযোগ করা হলে জামালগঞ্জ উপজেলার মৎস্য সহকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম (মোবা: ০১৯১৮৭৩৩৪২২) ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক,জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জামালগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের বরাবর অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনার একান্ত মর্জি হয়।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৮মে২০১৮/ইকবাল