ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী রত্না বেগম (১৩)। ১০/১২ দিন পূর্বে তাকে না জানিয়ে বিয়ে দেয় তার পরিবার। এ ঘটনা মেয়েটি জানার পর পালিয়ে এসে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রত্না বেগম অভিযোগ করেন বলেন, জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছি। কিন্তু আমার কাকা মহিউদ্দিন ও কাকী লাইজু বেগম ও মা হাচিনা বেগম আমাদের দূর সম্পের্কের আত্মীয় চরফ্যাসন চরলিলু গ্রামের মো: সবুজের সাথে আমাকে না জানিয়ে বিয়ে দেয়। আমাকে ওই বেড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে দেখি রাতে হুজুর এনে বিয়ে পড়াচ্ছে। রাতে জামাইর ঘরে যেতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। কিন্তু আমার কান্নাকাটিতে তা পারেনি। আমি সকালে উঠে কাউকে না জানিয়ে বাড়ীতে চলে আসি। সোমবার সকালে স্কুলে এসে শিক্ষকদের ঘটনাটি জানাই। এরপর প্রধান শিক্ষক সোহেল স্যার ও পপি রানী দত্ত শিক্ষিকা কে নিয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এ বিয়ে মানি না, আমি পড়াশুনা করতে চাই। জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী রত্না বেগম। রোলনং-৩৯। পক্ষিয়া ৪নং ওয়ার্ডের প্রবাসী মো: মফিজ মিয়ার মেয়ে। এব্যাপারে জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সোহেল হোসেন জানান, মেয়েটি এসে বিদ্যালয় বিয়ের কথা জানালে এক শিক্ষিকাসহ তাকে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কাছে নিয়ে এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। মেয়েটি পড়াশুনা করতে চায়। তাই তাকে সহযোগিতা করতে চাই আমরা। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো: আ: কুদদূস জানান, অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২মে২০১৮/ইকবাল