সদ্যোজাত এক সন্তানের সঙ্গে টুম্পাদেবী।
একটি নয়, দু’টি জরায়ু। আর দু’টির মধ্যেই সন্তান। একটি ছেলে, একটি মেয়ে।
বনগাঁর বাসিন্দা বাইশ বছরের গৃহবধূ টুম্পা রায় যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে বিস্মিত তাঁর চিকিৎসকই। কারণ চিকিৎসকের দাবি অনুযায়ী, মহিলাদের শরীরে দু’টি জরায়ু থাকার ঘটনা বিরল না হলেও দু’টি জরায়ুর মধ্যে দু’টি সন্তান থাকা বিরল ঘটনা।
টুম্পাদেবীর বাড়ি বনগাঁর গোপালনগর থানা এলাকার চালকি গ্রামে। তাঁর স্বামী অপূর্ব রায় ভিন রাজ্যে একটি সংস্থায় কাজ করেন। এ দিন সকালে সন্তানসম্ভবা টুম্পার রক্তপাত হলে বাড়ির লোকেরাই দ্রুত তাঁকে বনগাঁর একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করান। সেখানেই চিকিৎসক বিশ্বজিৎ হালদার টুম্পাদেবীর অস্ত্রোপচার করেন। আর তখনই ধরা পড়ে এই ঘটনা।
বিশ্বজিৎবাবু জানিয়েছেন, টুম্পাদেবী কন্যাসন্তানটির প্রসব স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই হয়। তার পরেই বোঝা যায়, টুম্পাদেবীর জরায়ুর দু’টি খণ্ড। দ্বিতীয় খণ্ডটিতেও একটি সন্তান রয়েছে।
ওই চিকিৎসক জানান, টুম্পাদেবীর জরায়ুর দ্বিতীয় খণ্ডে পুত্রসন্তানটি ছিল। কিন্তু তার অবস্থান এমনভাবে ছিল, যে বাধ্য হয়ে অস্ত্রোপচার করে সেই সন্তান প্রসব করাতে হয়। তাছাড়া টুম্পাদেবীর রক্তপাত শুরু হওয়ায় সিজার না করলে মা এবং সন্তান— দু’জনেরই ক্ষতির আশঙ্কা থাকত। যদিও, অস্ত্রোপচারের পরে টু্ম্পাদেবী এবং তাঁর দুই সন্তানই সুস্থ আছে।
বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, মহিলাদের শরীরে দু’টি জরায়ু অনেকের ক্ষেত্রে থাকলেও দু’টি জরায়ুর মধ্যেই সন্তান থাকাটা বিরল ঘটনা। আপাতত চিকিৎসক বিশ্বজিৎবাবুর লক্ষ্য, যে করেই হোক মা এবং সন্তানদের সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরত পাঠানো।
সূত্র : এবেলা