রোববার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী হাসান এই অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, কোটার বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রছাত্রীর ব্যানারে একটি অসাধু চক্র অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হচ্ছে।
“‘কোটা বাতিল না করলে নৌকায় ভোট দেব না, ‘যার যা আছে তা নিয়ে কোটার বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ুন’ সব বিভিন্ন উসকানিমূলক মন্তব্য ও কোটার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করছে।”
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম রেজাসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ অভিমুখে রওনা দেন।
এদিকে এর আগে নিয়োগ পরীক্ষার কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে জাতীয় গ্রন্থাগারের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রঅধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী অবস্থান নেয়।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি তুলেন তারা।
এই দাবিতে আন্দোলনকারীদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল মামুন বলেন, “আমরা ছাত্রলীগের যারা আছি তারা কখনোই কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না, মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে তো না-ই। আমরা যৌক্তিক কোটা সংস্কারের পক্ষে কথা বলছি। কোটার পরিমাণকে সহনশীল পর্যায়ে কমিয়ে এনে যাতে মেধাবীদের খালি পদগুলোতে সুযোগ করে দেওয়া হয়- আমাদের নেত্রীর কাছে আমরা সে দাবিই জানাচ্ছি।”
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/মেধা